ছবিতে নায়ক-নায়িকার নাচের দৃশ্যের কোরিওগ্রাফার হতে চেয়েছিলেন তিনি। তার বদলে নিজেই হয়ে গেলেন নায়িকা!
তিনি দঙ্গল কন্যা সানিয়া মলহোত্র। সানিয়া তাঁর একের পর এক অভিনয় দিয়ে মুগ্ধ করে তুলছেন দর্শকদের। তাঁর অভিনয়ে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন তারকারাও।
কিন্তু বাস্তবে অভিনয়ে আসতেই চাননি সানিয়া। তিনি চেয়েছিলেন কোরিগ্রাফার হতে।
সানিয়া মূলত দিল্লির মেয়ে। প্রশিক্ষিত নৃত্যশিল্পী তিনি। স্নাতক করার পরই তিনি একটি নাচের রিয়েলিটি শো-এ অডিশন দিয়েছিলেন।
বছর ছয়েক আগে ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’-এর মঞ্চে অডিশন দিতে গিয়েছিলেন তিনি। রাত ১টা পর্যন্ত অডিশন চলেছিল তাঁর।
প্রথম ১০০-এর মধ্যে পৌঁছেও গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর আর পারেননি। ওই রাতেই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে অডিশন থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
কোরিওগ্রাফার না হতে পেরে সে দিন কেঁদে ভাসিয়েছিলেন সানিয়া। বন্ধুর সঙ্গে সেই রাতেই মন খারাপ করে ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’-এর মঞ্চ ছাড়েন তিনি।
কোরিওগ্রাফার হওয়ার স্বপ্ন বোধ হয় সে দিনই শেষ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। কিন্তু তাঁর সামনে নতুন দিক খুলে যায় ‘দঙ্গল’-এর হাত ধরে।
২০১৬ সালের এই ছবিতে তাঁর অভিনয় মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের। তারপর এখনও পর্যন্ত একটি বছরও এমন যায়নি যে তাঁর কোনও ছবি মুক্তি পায়নি।
'পটাখা’, 'বধাই হো', 'ফটোগ্রাফ', 'শকুন্তলা দেবী', 'লুডো' থেকে হালফিলের ‘পগলৈট’— একটার পর একটা ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেল উমেশ বিশ্তের ছবি ‘পগলৈট’। এ ছবিতেও মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন সানিয়া। সন্ধ্যার চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
এই ছবির প্রচারের জন্য ফের একবার তিনি গিয়েছিলেন সেই ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’-এরই মঞ্চে। সেখানে গিয়েই তিনি পুরনো দিনের কথা বলেন।
নাচ এবং অভিনয় এই দু’ইয়ের মাঝে তিনি কখনও পরিচালকের সহযোগী হয়ে, আবার কখনও চিত্রগ্রাহকের সহযোগী হয়েও কাজ করেছেন।