—ফাইল চিত্র।
আদালতে শুনানি চলাকালীনও মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের সঙ্ঘাত জারি রইল। মহারাষ্ট্রের শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনার উদ্দেশে খারাপ মন্তব্য করেছেন বলে আদালতে অভিযোগ করেন অভিনেত্রীর আইনজীবী। অভিয়োগ প্রমাণে আদালতের নির্দেশে সঞ্জয়ের বক্তব্যের অডিয়ো রেকর্ডিং চালানো হয়। কিন্তু তাতে কোথাও সঞ্জয়ের মুখে কঙ্গনার নাম শোনা যায়নি। এর পর পাল্টা আক্রমণে নামেন সঞ্জয় ও বৃহন্মুম্বই পুরসভার (বিএমসি) আইনজীবী। সঞ্জয় এমন কোনও মন্তব্য করে থাকলেও কঙ্গনার আচরণই তাঁকে তা করতে বাধ্য করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।
আক্রোশবশত বিএমসি-কে তাঁর পালি হিলের অফিস গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে বম্বে হাইকোর্টে অভিযোগ করেন কঙ্গনা। ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিও জানান। সোমবার ভিডিয়ো কনফারেন্সে তাঁর সেই আবেদনের শুনানি ছিল। সেখানে কঙ্গনাকে উদ্ধৃত করে তাঁর আইনজীবী জানান, কঙ্গনার টুইট দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি সঞ্জয়। কঙ্গনাকে শিক্ষা দিতে চেয়ে বিএমসি-কে দিয়ে প্রতিশোধ নেন।
কঙ্গনার আরেক আইনজীবী বীরেন্দ্র সরাফ আদালতে জানান, কঙ্গনার উদ্দেশ্যে কুমন্তব্য করেছেন সঞ্জয়। এর পরেই অভিযোগ প্রমাণে অডিয়ো রেকর্ডিং চালানোর নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মতো সেটি চালানো হয়। কিন্তু সেখানে কোথাও কঙ্গনার নাম মুখে আনতে শোনা যায়নি সঞ্জয়কে। তাঁর আইনজীবী প্রদীপ থোরাট যুক্তি দেন, কঙ্গনার নাম মুখে আনেননি তাঁর মক্কেল। আর তিনি রাগের মাথায় কিছু বলে থাকলেও কঙ্গনাকে গালি দিয়েছেন বা এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া ঠিক নয়। আগামী কাল তাঁরা এ নিয়ে হলফনামা জমা দেবেন।
আরও পড়ুন: দীপিকা, সারা, শ্রদ্ধা আর রাকুলের ক্রেডিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করল এনসিবি, দেখা হবে অ্যাকাউন্টও
আরও পড়ুন: সুশান্ত তদন্তে কোনও সম্ভাবনাই খারিজ হয়নি, জানাল সিবিআই
কঙ্গনার আইনজীবীকে তাঁর সমস্ত টুইট এবং সঞ্জয়ের গোটা সাক্ষাৎকার জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।