কুছ তো লোগ কহেঙ্গে!
রণবীর কপূরের উজ্জ্বল উপস্থিতি দর্শক টানতে পারেনি। এত আয়োজনের পরও বক্স অফিসে ধরাশায়ী ‘সমশেরা’। লোকজনের ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে কান পাতা দায়। এ হেন ভরাডুবি নিয়ে বুধবার সরব হয়েছেন পরিচালক কর্ণ মলহোত্র। খোলা চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘সমশেরা, তুমি তোমার মতো করে সুন্দর...।’ এর পর মুখ খুললেন অভিনেতা সঞ্জয় দত্তও। তাঁর মতে, লোকে যতই নিন্দা করুক, ‘‘সমশেরা আমাদের!’’ সেই সঙ্গে অভিনন্দন জানালেন রণবীরকেও, যাঁর প্রথম দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় এই ছবিতেই।
কটাক্ষের ঝড় সামলে সঞ্জয় লেখেন, ‘এ ছবি রক্ত, ঘাম এবং চোখের জলে তৈরি। আমাদের স্বপ্ন, যা আমরা পর্দায় নিয়ে এসেছি। তবে, ছবি দর্শকদের উপভোগের জন্যই তৈরি করা। প্রত্যেক ছবিই তার দর্শক খুঁজে নেয়, আগে বা পরে। অনেক মানুষ ‘সমশেরা’র নিন্দে করেছেন। যদিও আমি শুনেছি তাঁদের অধিকাংশই ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখেননি। অন্যের পরিশ্রমকে সম্মান না করার এই প্রবণতাকে আমি ভয়ঙ্কর বলে মনে করি।’
শুধু নির্মাতা নয়, এক জন মানুষ হিসেবেও পরিচালক কর্ণের প্রশংসা করেছেন ‘মুন্নাভাই’। কর্ণ তাঁর চার দশকের দীর্ঘ অভিনয় জীবনে দেখা সেরা পরিচালকদের এক জন বলে জানিয়েছেন সঞ্জয়। ২০১২ সালে ‘অগ্নিপথ’-এও কর্ণের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। সে কথা স্মরণ করে অভিনেতা লেখেন, ‘কর্ণ পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছে। সাফল্য বা ব্যর্থতা দূরে রাখি। ওর সঙ্গে কাজ করা সব সময়ে সম্মানের। আমি সর্বদা ওর পাশে আছি।’
‘সমশেরা’ও এক দিন দর্শক খুঁজে পাবে বলে বিশ্বাস সঞ্জয়ের। আশা রাখেন, এই কাজের মর্ম মানুষ ঠিক বুঝতে পারবে কখনও। অভিনেতার মতে, ‘মানুষের ঘৃণাবোধ আজকাল কত তীব্র, দেখে খারাপ লাগে। কী ভাবে রণবীরের মতো উদ্যমী অভিনেতাকে তাঁরা যা খুশি তাই বলছেন!’ তার পরে নিজেকেই যেন আশ্বস্ত করেছেন— ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে, লোগোঁ কা কাম হ্যায় কেহনা।’