জীবনের কঠিন সময়ের কথা বললেন সঞ্জয়।
পর্দায় নায়ক হয়েছিলেন মাত্র ২২-এই। তাঁর জীবনও ছবির চেয়ে কম বর্ণিল নয়। শ্যুটিং ফ্লোর থেকে আদালতের কাঠগড়া, কারাগার— নানা ওঠাপড়ার সাক্ষী সঞ্জয় দত্ত।
বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে ২০০৬ সালে অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন সঞ্জয়। পরবর্তীতে কর্ণ জোহরের টেলিভিশন অনুষ্ঠানে জীবনের সেই অন্ধকার অধ্যায়ের কথা কোনও রাখঢাক না করেই তুলে ধরেছিলেন সঞ্জয়। জানিয়েছিলেন, তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হেসেছিলেন তাঁর আইনজীবী। সঞ্জয়ের কথায়, “আমি তখন পুরো স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি শুধু মহামান্য বিচারকের রায়টুকু শুনেছিলাম। এর পর আর কিছুই ভাবতে পারছিলাম না। আমি দেখলাম, আমার আইনজীবী আমার দিকে তাকিয়ে হাসছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমাকে শুধু অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। টাডা আইনে আমি নির্দোষ।”
মক্কেলের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ সরে যাওয়ায় খুশি হয়েছিলেন আইনজীবী। কিন্তু নিজেকে সামলাতে পারেননি সঞ্জয়। তিনি বলেন, “আমি প্রায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। আমার মাথা ঘুরছিল। আমার চোখে জল এসে গিয়েছিল। নিজেকে অনেক কষ্টে সামলেছিলাম।”
সঞ্জয়ের জীবনের সেই অধ্যায় এখন অতীত। আপাতত তিনি ব্যস্ত কাজ এবং পরিবার নিয়ে। খুব শীঘ্রই তাঁকে দেখা যাবে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২’ ছবিতে।