নিজেই এই গল্প বলেছিলেন সঞ্জয়।
বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে টাডা আইনে তাঁর ঠাঁই হয়েছিল গরাদের ওপারে। জেলে সে সময়ে কাগজের ঠোঙা তৈরির কাজ দেওয়া হয় সঞ্জয় দত্তকে। সেই করেই তিনি রোজগার করেন পাঁচশো টাকা! এক টিভি শোয়ে এসে নিজেই এই গল্প বলেছিলেন বলিউড অভিনেতা।
১৯৯৩ সালের এক মামলায় বেআইনি ভাবে নিজের কাছে অস্ত্র রাখার অভিযোগ ছিল সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। ২০০৭ সালে টাডা আদালত সেই অপরাধে তাঁকে কারাদণ্ড দেয়। সুপ্রিম কোর্ট সেই রায়ই বহাল রাখায় ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলে কেটেছে অভিনেতার। বলিউড অভিনেতার ঝাঁ-চকচকে, বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে সঞ্জয় গিয়ে ওঠেন গরাদঘেরা কুঠুরিতে।
বন্দি জীবনেই সঞ্জয়কে কাগজের ঠোঙা তৈরির নিদান দেন জেল কর্তৃপক্ষ। ঠোঙা পিছু মিলত ২০ পয়সা। প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ১০০টি ঠোঙা তৈরি করতেন এক সময়ের নামীদামি অভিনেতা। টিভির অনুষ্ঠানে সঞ্জয় অকপটে জানান, প্রায় সাড়ে তিন বছরের জেল-জীবনে ঠোঙা তৈরি করেই তিনি রোজগার করেছিলেন প্রায় ৫০০ টাকা। ২০১৬ সালে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সেই টাকা স্ত্রী মান্যতার হাতে তুলে দেন তিনি। অভিনেতার নিজের কথায়, “পণ করেছিলাম, জেলের কঠিন দিনগুলো ইতিবাচক মন নিয়ে কাটাব। ওই পাঁচশো টাকার মূল্য আমার কাছে পাঁচ হাজার কোটি টাকার সমান!”
২০১৬ সালে নতুন করে ছবির দুনিয়ায় পা রাখেন বলিউডের ‘মুন্নাভাই’। কাজ করছেন বিভিন্ন ছবিতে। এ বছরও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে চারটি ছবি। সবক’টিতেই পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করবেন এক সময়ের জনপ্রিয় নায়ক।