ঋষি কপূরের জীবনের টুকরো গল্পে এখন বুঁদ সোশ্যাল মিডিয়া। সেগুলির মধ্যে শোনা যাচ্ছে ঋষি এবং নীতুর বিয়ে নিয়ে মজাদার গল্পও।
ঋষি-নীতুর বিয়ে হয়েছিল ১৯৮০ সালের জানুয়ারি মাসে। ২৩ জানুয়ারি ঠিক হয়েছিল রিসেপশনের দিন। তাঁদের বিয়ের কার্ড ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই নিমন্ত্রণপত্রে ছিল বৃহৎ কপূর পরিবারের প্রায় প্রত্যেক সদস্যের নাম।
২০ জানুয়ারি ছিল ঋষি-নীতুর বিয়ের ‘সঙ্গীত’ অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে গান গাইতে এসেছিলেন নুসরত ফতে আলি খান। খুব কম লোকই জানেন, ঋষি কপূরের বিয়ের সঙ্গীতেই ভারতে প্রথম বার পারফর্ম করেছিলেন এই পাকিস্তানি শিল্পী।
তত দিনে পাকিস্তানে পরিচিত নুসরত ফতে আলি খান। রাজ কপূর তাঁর গানের সুখ্যাতি শুনেছিলেন। তাঁর আমন্ত্রণেই ভারতে এসেছিলেন নুসরত ফতে আলি।
তাঁর গানে ‘সঙ্গীত’-এ আমন্ত্রিত অতিথিরা এত মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন যে, রাতে শুরু হয়ে তাঁর গান চলেছিল ভোর অবধি।
সে দিন শুধু কাওয়ালি-ই নয়। নুসরত ফতে আলি গেয়েছিলেন বলিউডের সুপারহিট বিভিন্ন ছবির গানও।
কয়েক মাস আগে শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকীতে নিজের ‘সঙ্গীত’-এর একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন ঋষি কপূর। সেখানেই ঋষি উল্লেখ করেন, তাঁর বিয়ের সঙ্গীত অনুষ্ঠান উপলক্ষেই প্রথম বার ভারতে গান করেন নুসরত ফতে আলি খান।
এই অনুষ্ঠান থেকেই বলিউডের দরজা খুলে যায় নুসরত ফতে আলির সামনে। পরবর্তীকালে ‘অওর প্যায়ার হো গ্যয়া’ ছবিতে সুরকার হিসেবে দর্শকদের নজর কাড়েন তিনি।
তবে তার আগে ১৯৮১ সালে ‘নাখুদা’ বলে একটি ছবিতে গান করেছিলেন নুসরত ফতে আলি খান। তবে বলিউডে বিখ্যাত হওয়ার জন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছে এক দশকেরও বেশি সময়।
এর পর ‘ওহ ডার্লিং ইয়ে হ্যায় ইন্ডিয়া’, ‘কার্তুজ’, ‘দিল্লগি’, ‘কচ্চে ধাগে’, ‘ধড়কন’-সহ বহু ছবিতে ধরা দিয়েছে নুসরত-জাদু। কিন্তু বলিউডের দরজা তাঁর জন্য খুলে গিয়েছিল রাজ কপূরের হাত ধরেই, তাঁর মেজো ছেলের বিয়ে উপলক্ষে।