স্যান্ডি সাহা ও হিরণ চট্টোপাধ্যায়
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অমিত শাহের সভায় গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন টলিউড অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম স্যান্ডি সাহার নম্বর জোগাড় করেন হিরণ। তার পর অভিনেতার স্ত্রী স্যান্ডির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্যান্ডির কাছে তাঁর আর্জি ছিল, তিনি যেন বিজেপি কর্মী হিসেবে হিরণের প্রচারে সাহায্য করেন। বিনামূল্যে না, পেশাদার ভাবেই স্যান্ডির সাহায্য চেয়েছিলেন হিরণের স্ত্রী।
কিন্তু হায়, পদ্মফুলের জন্য প্রচারে রাজি নন ‘এমটিভি রোডিজ’ খ্যাত স্যান্ডি। এর আগেও আনন্দবাজার ডিজিটালকে শিল্পী জানিয়েছিলেন, কোনও রাজনৈতিক দলকেই পছন্দ বা অপছন্দ করেন না। কিন্তু অন্য দলের তুলনায় গেরুয়া শিবিরের প্রতি একটু বেশিই বিতৃষ্ণা তাঁর।
তবে টলিউডের বেশির ভাগ নায়কই এত ‘হ্যান্ডসাম’ যে মুখের ওপর ‘না’ বলতে ভাল লাগে না তাঁর। কিন্তু কী করা যাবে! আনন্দবাজার ডিজিটালের তরফে স্যান্ডিকে এই প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, ‘‘হিরণের অভিনয় নিয়ে কথা বলব না। হিরণকে আগে আমার খারাপ লাগত না। কিন্তু সম্প্রতি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে যে ভাবে অলক্ষ্মী বলেছেন, সেটা আমার ভাল লাগেনি। হিরণ কি তবে নিজেকে লক্ষ্মী বলছেন?’’
বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার আগে আনন্দবাজার ডিজিটালকে হিরণ বলেছেন, ‘‘আমার একটাই লক্ষ্য। বাংলা থেকে যে ভাবে হোক, অলক্ষ্মীকে দূর করতে হবে। অলক্ষ্মী দূর না করলে আমাদের এই পশ্চিমবাংলায় লক্ষ্মী কখনও আসবে।’’ সে প্রসঙ্গে স্যান্ডির বক্তব্য, ‘‘আমি তৃণমূলের সমর্থক নই। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মান জানাই। এক জন মহিলা হিসেবে তাঁর লড়াইটা প্রশংসনীয়।’’
স্যান্ডিকে প্রশ্ন করা হল, যশ দাশগুপ্ত যদি তাঁকে এই প্রস্তাব দিতেন, কী করতেন তিনি? নাহ, পদ্মফুলের জন্য কোনও ভাবেই কাজ করতে রাজি নন তিনি। যদি অভিনেতা যশ তাঁকে বিয়ে করেন, তার পর এই প্রস্তাব রাখেন, তা হলে সুজাতা মণ্ডল খাঁ-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন স্যান্ডি। জানালেন, ‘‘যশদা এ রকম প্রস্তাব রাখলে, সৌমিত্র খাঁয়ের মতো অবস্থা করে ছেড়ে চলে যাব। সুজাতা মণ্ডল খাঁ হয়ে যাব আমি। বিচ্ছেদ হয়ে যাবে আমাদের। তাও প্রচার করব না।’’
কিন্তু দেবের কথা শুনে স্যান্ডির মনটা জল হয়ে গেল। তাঁর দাবি, ‘‘তৃণমূলের হয়েও প্রচার করব না। কিন্তু দেবদা অনুরোধ করলে, কেবল ব্যক্তি দেবদার জন্য প্রচার করব। তিনি মানুষের জন্য যা যা করেছেন, সেগুলোর কথা জানাব মানুষকে।’’