সারা জীবনের সঞ্চয় খরচ করে কলকাতায় ‘হাভেলি’ বানিয়েছেন সম্রাট। অভিনেতার বাড়ির ছবি দেখেছেন আর এক তারকা সোনালী চৌধুরীও। নেটমাধ্যমে সম্রাট-ময়নার বিশাল বাড়ির ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে প্রশংসা করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সম্রাট নাকি আমন্ত্রণ জানান— ‘‘আও কভি হাভেলি পে!’’
ময়নাকে ‘হাভেলি’ গড়ে দিলেন সম্রাট।
অনেক দুঃখের পরে একটু সুখ, এটুকুই তো চাওয়া সকলের। সম্রাট মুখোপাধ্যায়ও তাই চেয়েছিলেন। অনেক ঝড়ঝাপ্টা পেরিয়ে অবশেষে সেই ইচ্ছেপূরণ। দুই পরিবারের অমতে বিয়ে সম্রাট-ময়না মুখোপাধ্যায়ের। যার জন্য তিন বার গর্ভপাতও করাতে হয় ময়নাকে। যমজ সন্তানের মুখ দেখে সেই দুঃখ ভুলেছেন দম্পতি। ভালবাসা অটুট ‘ভাল বাসা’র কল্যাণে। কলকাতার বুকে নাকি সঞ্জয় দত্তের মতো ‘হাভেলি’ বানিয়েছেন অভিনেতা।
স্টার জলসার ‘ইস্মার্ট জোড়ি’ রিয়্যালিটি শো তারকাদের গোপন খবর ফাঁস করার মঞ্চ। সেখানেই সম্রাট জানিয়েছেন, ছোট থেকে সঞ্জয় দত্তের অন্ধ ভক্ত তিনি। খুব ইচ্ছে তাঁর মতো বাড়ি বানাবেন। যেখানে শরীরচর্চার জন্য জিম থাকবে। ছাদবাগান থাকবে। আরাম, বিলাসিতায় মোড়া থাকবে তাঁর বাড়ি। যেমন ভাবা, তেমনই কাজ। সঞ্চিত সমস্ত টাকা খরচ করে সঞ্জয় দত্তের ‘হাভেলি’র ছোট্ট সংস্করণ গড়ে নিয়েছেন শহর কলকাতার বুকেই। ময়নার কথায়, ‘‘ভবিষ্যতের কথা এক বারও ভাবেনি সম্রাট। আরামে থাকার জন্য আমায় এত বড় বিলাসবহুল বাড়ি বানিয়ে দিয়েছে!’’
কাঠের বিশাল বড় সিংহদুয়ার খুললেই প্রাসাদের মতো ঘর। প্রতিটি ঘরে বাড়ির কর্তার শৌখিনতার ছাপ। প্রতিটি আসবাব আধুনিকতম। যদিও এই বাড়িই নাকি এখন সম্রাটের মাথাব্যথার কারণ। এত বড় বাড়ির দেখভাল যে মুখের কথা নয়! সেই হ্যাপা সামলাতে মাঝেমধ্যেই হিমশিম খান তিনি।
অভিনেতার বাড়ির ছবি দেখেছেন আর এক তারকা সোনালী চৌধুরীও। তিনি নেটমাধ্যমে সম্রাট-ময়নার বিশাল বাড়ির ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে প্রশংসা করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সম্রাট নাকি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘আও কভি হাভেলি পে!’’