Samontak Dyuti Maitra

Samontak Dyuti Maitra: ‘হাবজি গাবজি’তে অভিনয় ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে! আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে ফাঁস স্যমন্তকদ্যুতির

শোরগোল ফেলেছে ছবি। ‘হাবজি গাবজি’ রাতারাতি বিখ্যাত করে দিয়েছে স্যমন্তকদ্যুতি মৈত্রকে। বদলে অঘটনও ঘটিয়েছে। কী সেটা?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২২ ১৯:২১
Share:

কী বলছে ‘হাবজি গাবজি’র ‘টিপু’?

জীবনটাই বদলে গিয়েছে স্যমন্তকদ্যুতি মৈত্রের। এক দিকে, রাজ চক্রবর্তীর ‘হাবজি গাবজি’ মুক্তি পেয়েছে। অন্য দিকে, জনপ্রিয়তা কাকে বলে টের পাচ্ছে নবম শ্রেণির পড়ুয়া অভিনেতা। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে অকপট স্বীকারোক্তি, ‘‘আগে বিকেল বেলায় সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়া রোজের রুটিন ছিল। এখন আর আগের মতো বেরোতে পারি না। মাঝেমধ্যে বেরোচ্ছি।’’ মা-বাবার সঙ্গে বেরোলে কী অবস্থা? সাধারণত গাড়িতে চেপেই যাতায়াত করতে হচ্ছে অভিনেতাকে। ছবির জনপ্রিয়তা বোঝার জন্য নামতে হলে, মুখ ঢাকা দুটো মাস্ক, চশমা আর টুপিতে!

Advertisement

ফোনে কথা বলতে বলতেই পর্দার ‘টিপু’ পায়ে পায়ে নন্দনে। সঙ্গী বাবা। মুখ ঢাকা থাকলেও গলার স্বর কি আর লুকোয়? কথোপকথন শুনেই নাকি রাস্তায় তাকে খুঁটিয়ে লক্ষ করতে শুরু করেছেন কয়েক জন। শুধু কি এই! রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পড়ুয়া-অভিনেতাও যখন প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছে, তখন একগুচ্ছ প্রশ্ন সমবয়সিদের। এবং কৌতূহল, ‘‘তুমিও বুঝি খুব মোবাইল গেম খেল? মা-বাবার সঙ্গে এত খারাপ ব্যবহার কর? তাই পর্দায় অত ভাল ফোটাতে পেরেছ?’’ স্যমন্তকের দাবি, কিছুতেই বোঝানো যাচ্ছে না, তার স্মার্টফোনই নেই!

স্কুলের বন্ধুরাও বেজায় খেপেছে তারকা বন্ধুর উপরে। তাদের ক্ষোভ, ‘‘এমন একটা ছবি করলি! না পারছি নিজেরা মোবাইল গেম খেলতে। না খেলতে দিচ্ছে মা-বাবা।’’ ছবির খাতিরে পর্দায় হাতের লেখা বাঁকা করতে হয়েছে তাকে। তাই দেখে ছোট বোনের কী আফসোস, ‘‘ছোড়দা, তোর হাতের লেখাটাই যে খারাপ হয়ে গেল!’’ অতনু ঘোষের ‘বিনিসুতোয়’ ছবির খুদে অভিনেতা সবটাই দেখছে। চেটেপুটে জীবন উপভোগ করছে। একই সঙ্গে কৃতজ্ঞ পরিচালক রাজ-সহ টিম ‘হাবজি গাবজি’র কাছে। তার দাবি, ‘‘আজ আমি যা, সবটাই রাজ আঙ্কলের জন্য। উনিই আমার শিক্ষক। শুভশ্রীদি,পরম আঙ্কল— সবাই হাতে ধরে সব শিখিয়েছেন। ওঁরা না থাকলে আমি কিচ্ছু না।’’

Advertisement

৩ জুন শেষ হয়েছে আগামী ছবি ‘মাস্টার অংশুমান’-এর শ্যুট। এই ছবিতেও স্যমন্তক মুখ্য অভিনেতা। আপাতত, ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে ষান্মাষিক পরীক্ষা। পুজোর আগে নতুন শ্রেণির পরীক্ষায় বসতে হবে। তাই অভিনয় ভুলে আপাতত পড়াশোনাতেই মনোযোগ। জনপ্রিয়তার জোয়ারে সাধের সাইকেল চালানো বন্ধ। এ বার কি স্যমন্তকও স্মার্টফোন কিনবে? শুনেই বেরিয়ে এল একরাশ হতাশা, ‘‘হাবজি গাবজি’-তে অভিনয় ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে। পিসির কড়া নিদান, মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশ নম্বর পেলে তবেই স্মার্টফোন। তার আগে ও সব কিচ্ছু নয়!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement