রাশিদ খানের স্মৃতিচারণায় তাঁর তবলিয়া সমর সাহা। ছবি: সংগৃহীত।
শিল্পীর প্রয়াণ হয়। কিন্তু শিল্পের তো হয় না। এ কথাই বার বার বলছেন তবলিয়া সমর সাহা। প্রায় ৪৪ বছর ধরে রাশিদ খানের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা। মাত্র ১০ বছর বয়সি রাশিদ তখন সঙ্গীত রিসার্চ অ্যাকাডেমি (এসআরএ)-র ছাত্র। ২২ বছর বয়সি সমর তখন সেখানে চাকরি করেন। সেই তখন থেকে তাঁদের সম্পর্কের শুরু। একসঙ্গে দেশে-বিদেশে বহু ‘ট্যুর’ করেছেন। রাশিদের বিদায়বেলায় পুরনো কথাই যে বার বার মনে পড়ছে তাঁর, সে কথাই জানালেন আনন্দবাজার অনলাইনকে। ৯ জানুয়ারি শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী রাশিদ।
শেষ বারের মতো দেখতে হাসপাতালে যাওয়ার সময় আনন্দবাজার অনলাইনকে সমর বললেন,“আজকের বিকেলটা অনেকটা রাতের মতো মনে হচ্ছে। রাশিদের যে এত শরীর খারাপ জানতেই পারিনি। কত ছোট থেকে দেখেছি ওকে। শিল্পীর প্রয়াণ হলেও, শিল্পের তো শেষ হয় না। ১০০ বছর পরেও সবাই ওঁর গান শুনবে। ১০ বছর বয়স থেকে রাশিদকে চিনি আমি। ও উস্তাদ হয়েই জন্মেছিল বলে আমার মনে হয়। কখনও যে ওকে নিয়েও এ সব কথা বলতে হবে ভাবতে পারিনি। আমি, রাশিদ, অজয় চক্রবর্তী— আমরা সবাই একসঙ্গে থাকতাম এসআরএ -তে। তার পর ধীরে ধীরে সবাই বেরিয়ে আসি। শিল্পী হয়েই জন্মেছিল রাশিদ।”
২০২২ সালে শেষ বারের মতো দেখা হয়েছিল সমরের। তাঁর প্রতিষ্ঠানে এসে অনুষ্ঠানও করেছিলেন রাশিদ। সেই দিনের কথাই বার বার মনে করছিলেন গায়কের প্রিয় তবলিয়া। গত ছ’মাসে অনেক বারই গায়কের স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর। তবে সমরের ধরা গলায় খানিক অভিমানের সুর। ‘‘যত বার ফোন করেছি, উনি বলেছেন, ভাল আছে। তাই এক বারও হাসপাতালেও গেলাম না। এখন যাচ্ছি।’’
উল্লেখ্য, এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ৯.৩০টা নাগাদ রশিদ খানের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে প্রথমে রবীন্দ্র সদনে। তার পর তাঁর নাকতলার বাড়ি হয়ে টালিগঞ্জে কবর দেওয়া হবে তাঁকে।