শরীরে রোগের বাসা, হতাশায় সামান্থা। ফাইল-চিত্র।
এক এক দিন মন ভাল রাখার রসদ খুঁজে নেন। তবে বাকি দিন ছায়াবন্দি হয়ে কেটে যাচ্ছে সামান্থা রুথ প্রভুর। বিরল রোগ মায়োসাইটিসে ভুগছেন দক্ষিণের জনপ্রিয় তারকা। ছবি মুক্তির আগে আমেরিকায় ছুটে গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে। তার পর প্রচারের মাঝে একের পর এক বিষণ্ণ পোস্ট অভিনেত্রীর।
সম্প্রতি লিখেছেন, “মাঝেমাঝে মনে হয়, সামনে আর কিছু নেই।” আবার লিখলেন, “লড়াইটা কঠিন, কিন্তু আমিও তৈরি।” স্পষ্টই, জীবন তাঁকে দোটানায় ফেলে দিয়েছে। যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাইছেন নায়িকা। তাঁর পোস্টের নীচে মনের জোর রাখতে বলছেন অনুরাগীরাও। ভালবাসা এবং শুভেচ্ছাবার্তায় সকলেই জানালেন, পাশে আছেন।
তবু কি জোর পাচ্ছেন সামান্থা? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বললেন, “কিছু কিছু দিন খুব খারাপ যায়। মনে হয়, আর টানতে পারব না। কিন্তু তার পরই মনে হয়, এতটা পথ এলাম। শেষে তো জিতে যেতেও পারি!”
গত ২৯ অক্টোবর ইনস্টাগ্রামে নিজের বাঁ হাতের রক্তনালিতে ওষুধের নল লাগানো একটি ছবি পোস্ট করেন সামান্থা। ছবির নীচে নাতিদীর্ঘ ক্যাপশনে জানান, তিনি মায়োসাইটিস রোগে আক্রান্ত। শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধলে পেশির প্রদাহ শুরু হয়। দেহের সুস্থ-সবল পেশিকে আক্রমণ করে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধকারী ব্যবস্থা। ফলে পেশি দুর্বল হতে থাকে। সামান্থা জানান, তিনি যে মায়োসাইটিসে আক্রান্ত, সেটা কয়েক মাস আগেই জানতে পেরেছেন। তাঁর সুস্থ হতে আরও বেশি সময় লাগবে।
খবর পেয়ে ইন্ডাস্ট্রির বহু তারকা সুস্থতা কামনা করে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন। অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন স্বামী নাগা চৈতন্যের সৎভাই অখিল অক্কিনেনি-সহ আরও অনেকেই।
সামান্থারও আশা, তিনি সেরে উঠবেন দ্রুত। ভাল থাকার বিভিন্ন পন্থা খুঁজে নিজের ছবি পোস্ট করেন মাঝেমাঝে। আগামী দিনে তেলুগু ছবি ‘যশোদা’তে দেখা যাবে সামান্থাকে। ১১ নভেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে সেই ছবি। তা ছাড়াও হাতে রয়েছে ‘খুশি’, যেখানে বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে পর্দা ভাগ করবেন নায়িকা। তার পর ‘সিটাডেল’-এও বরুণ ধওয়ানের সঙ্গে দেখা যাবে তাঁকে।