সলমন খান আশৈশব বৈভবের মধ্যেই বড় হয়েছেন। কিন্তু একটা সময়ের পর থেকে তিনি নিজেই উপার্জনে আগ্রহী হন।
তরুণ বয়সে নিজের পকেটমানি নিজেই উপার্জন করার জন্য ভাবনা চিন্তা শুরু করেন সলমন। কিছু বন্ধুর সঙ্গে তিনি গিয়েছিলেন এক না্মী হোটেল, ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসেবে।
তখন ইন্ডাস্ট্রি থেকে সলমন বহু দূরে। এই অনুষ্ঠানও ছিল ছবির জগতের বাইরের। সেখানেই ব্যাকগ্রাউন্ড নাচের শিল্পী হিসেবে তাঁর পারিশ্রমিক ছিল ৭৫ টাকা।
তাঁর দ্বিতীয় পারিশ্রমিক ছিল ৭৫০ টাকা। একটি ঠান্ডা পানীয়ের বিজ্ঞাপনে তিনি অভিনয় করেছিলেন।
সলমন খান যখন প্রথম অভিনয়ে আসেন, তখন সানি দেওল এবং সঞ্জয় দত্তের কেরিয়ার মধ্যগগনে। তাঁদের পাশে নবাগত সলমনকে দুর্বল বলে মনে হয়েছিল পরিচালক প্রযোজকদের।
ফলে অভিনয়ের সুযোগ না পেয়ে বাবা সেলিম খানের সহকারী হিসেবে কাজ করতে থাকেন সমন। ‘ফলক’ ছবিতে বাবাকে সাহায্য করে তিনি পারিশ্রমিক পান ১৫০০ টাকা।
এর পর সহকারী হিসেবে তিনি বহু ইউনিটে ১৫০০ টাকায় কাজ করেন।
কয়েক বছরের মধ্যে তাঁর পারিশ্রমিক পৌঁছয় ৭৫ হাজার টাকায়। জীবনের প্রথম ছবি ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ থেকে তিনি এই অর্থই পেয়েছিলেন।
১৯৮৯ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। তখনকার নিরিখে তাঁর পারিশ্রমিকের অঙ্ক নেহাত কম ছিল না।
এখন শোনা যায়, ‘বিগ বস’-এর প্রতি পর্বের জন্য তিনি ১৬ কোটি টাকা পান।
পাশাপাশি, ছবি পিছু তাঁর পারিশ্রমিক ৮০ কোটি টাকা। ৭৫ টাকা উপার্জন থেকে যাত্রা শুরু করা সলমন এখন নিজেই ইন্ডাস্ট্রিতে একটি প্রতিষ্ঠান।