‘মন্নত’ নিয়ে রেষারেষি শাহরুখ-সলমনের?
শাহরুখ খানের বাড়ি কোথায়? সে খবর শিশুরাও রাখে। মুম্বইয়ের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে এখন অন্যতম হল বান্দ্রা। যেখানে শাহরুখের ‘মন্নত’ দেখতে ছোটেন হাজার হাজার অনুরাগী। তবে এই বাংলোই নাকি হতে চলেছিল আর এক খানের! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সলমন খান জানান, ‘মন্নত’ কেনার প্রস্তাব শুরুতে তাঁর কাছেই এসেছিল। কেনার স্বপ্নও ছিল তাঁর, কিন্তু শেষমেশ হল না। বান্দ্রার অভিজাত পাড়ায় গ্যালাক্সি নামের এক আবাসনে উঠলেন ভাইজান। আর ‘মন্নত’ পেলেন বলিউডের বাদশা।২০০১ সাল। মুম্বইয়ে বান্দ্রা ব্যান্ডস্ট্যান্ডের অভিজাত পাড়ায় সমুদ্রমুখী বাংলো ‘মন্নত’ কিনেছিলেন শাহরুখ এবং গৌরী খান। একটু একটু করে ‘মন্নত’কে মনের মতো করে সাজিয়ে তুলেছেন গৌরী। বিরল সামগ্রী সংগ্রহের নেশা আছে গৌরীর। সে সবে ভরে উঠেছে ছ’তলা প্রাসাদ। যার দাম প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
মন্নতের দিকে তাকিয়ে কি মনখারাপ হয় সলমনের? না, বাবা সেলিমের কথা অমান্য করতে পারেন না তিনি। তাঁর ইচ্ছেই সব। সলমনের সাফ জবাব, ‘‘আমার ইচ্ছে থাকলেও বাবা বারণ করেছিলেন। বলেছিলেন, এত বড় বাড়ি নিয়ে আমরা কী করব? আমিও ভেবে দেখলাম সত্যিই তো। তাই ‘মন্নত’-এর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিই।’’এতে কি শাহরুখের সঙ্গে রেষারেষি বেড়েছে সলমনের? সলমন, শাহরুখ দু’জনেই জানান, একেবারেই না। কর্মজগতে তাঁরা ভাই-ভাই। বরাবরই তাঁরা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
সম্প্রতি, শাহরুখের ‘পঠান’ ছবিতে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সলমন। আগেও ‘কর্ণ অর্জুন’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘কভি খুশি কভি গম’, বহু বার তাঁদের একসঙ্গে একই ছবিতে দেখা গিয়েছে।
চলতি বছর জুন মাসে অভিনয় জীবনের ৩০ বছর উদ্যাপন করলেন শাহরুখ। তখন লাইভে এসে কথায় কথায় সলমন সম্পর্কে বললেন, ‘‘ও আমার দাদার মতো। যদিও জানি না, আমাদের দু’জনের মধ্যে কে বড় কে ছোট। আমরা দু’জনেই দু’জনকে দাদার মতো সম্মান করি। যদি এক জন ভুল করি, আর এক জন দাদার ভূমিকায় অবতীর্ণ হই।’’
যদিও বর্তমানে গ্যাংস্টারদের হুমকির মুখে চাপে আছেন সলমন। ইদের দিন শাহরুখ মন্নতের বারান্দায় ভক্তদের দেখা দিয়েছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তার কারণেই গ্যালাক্সির বারান্দায় বেরোননি ভাইজান।