সলমন
মেট্রো চড়ে ‘বিগ বস’ সিজ়ন থার্টিনের সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন সলমন খান। শেষ কবে ট্রেনে চড়েছেন মনে পড়ে? ‘‘খুব ভাল মনে আছে। কলেজে পড়তাম। আমার তখনকার গার্লফ্রেন্ড সাউথ মুম্বইয়ে থাকত। তার সঙ্গে ট্রেনে চড়ে দেখা করতে যেতাম। ফেরার পথে শেষ ট্রেনটা ধরতাম। রোজ ভাবতাম, ঘুমোব না, কিন্তু ঘুমিয়ে পড়তাম। আর আমার বাড়ির স্টেশন (বান্দ্রা) পেরিয়ে যেত...’’ সরস ভঙ্গিতে মুড সেট করে দিলেন অভিনেতা।
এ বারের শোয়ে বড় চমক, ‘বিগ বস’-এর বাড়ি লোনাভলা থেকে মুম্বইয়ের ফিল্ম সিটিতে শিফ্ট করা হয়েছে। কারণ? সলমনের মতে, ‘‘এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে। দেখা যাক, কতটা সফল হয়। লোনাভলায় রোজ ৪৫০ জন লোকের ব্যবস্থা করা খুবই খরচসাপেক্ষ ছিল। অবশ্য আমার মন খারাপও হয়েছে। লোনাভলায় বিগ বসের বাড়িটি অনেকে দেখতে যেতেন।’’
ঘর বদলে যাওয়ায় প্রতিযোগীদের মানসিকতায় পরিবর্তন আসবে? ‘‘বিগ বসের বাড়ি নিউ ইয়র্কে হলেও পরিবর্তন আসবে না। তবে লোনাভলা নির্জন ছিল। ফিল্মসিটিতে একটু হলেও আওয়াজ আসবে,’’ বললেন সলমন।
‘বিগ বস’ সঞ্চালনা করে ক্লান্তি আসে না? সলমনের স্পষ্ট জবাব, ‘‘চ্যানেল লাভ করছে। দর্শক পছন্দ করছেন। এর চেয়ে বেশি কী চাই?’’
সপ্তাহান্তে সলমন টেলিভিশনের পর্দায় এলেই শোয়ের টিআরপিও চড়চড় করে বাড়ে। বিনয়ী সলমন এই কৃতিত্ব অবশ্য প্রতিযোগীদেরই দিচ্ছেন। ‘‘আমার জন্য টিআরপি বাড়ে না। প্রতিযোগীদের পর্দার বাইরের পরিস্থিতিতে দেখতে পছন্দ করেন দর্শক। ঠিক সময়ে খাওয়া নেই, ঘুম নেই, মন খুলে কথা বলতে পারেন না... এমন পরিবেশে ওদের সেলেব-মুখোশটা খুলে যায়।’’ তবে সলমন মানেন, ‘‘কয়েক জন প্রতিযোগী যখন বাড়ির নিয়ম ভেঙে অন্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন, তখন বকুনি দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। এমনিতে আমি কাউকেই কথা শোনাতে পছন্দ করি না।’’
শোনা গিয়েছে, রাণু মণ্ডলকে আপনি গাড়ি-বাড়ি কিনে দিয়েছেন? ‘‘সব গুজব। গাড়ি ইএমআই দিয়েই কেনা যায়। আর আমি নিজেই ওয়ান বেডরুমে থাকি। কাকে বাড়ি কিনে দেব?’’ জবাব সলমনের।