‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবির একটি দৃশ্য।
২২ বছর পূর্ণ করল সঞ্জয় লীলা ভন্সালী পরিচালিত ‘হম দিল দে চুকে সনম’। পেশাগত জীবনের গোড়ার দিকের সফল ছবিকে নিয়ে স্মৃতিমেদুর সলমন। গত শুক্রবার টুইটারে পরিচালকের সঙ্গে একটি ছবি দিয়েছেন অভিনেতা। সঙ্গে লিখেছেন, ‘হম দিল দে চুকে সনম ২২ বছর পার করে ফেলল।' এই পোস্টে ছবির সহ অভিনেতা অজয় দেবগণ এবং সঞ্জয়ের প্রযোজনা সংস্থাকেও ট্যাগ করলেন সলমন।
এত দূর পর্যন্ত সবটাই ঠিকঠাক ছিল। তবে সলমনের পোস্টে ছবির নায়িকা ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের উল্লেখ না থাকায় খটকা লাগে নেটাগরিকদের। ‘রাধে: ইয়োর মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই’-এর পর সলমনের অতীতের প্রেমকে ট্রোলের নতুন খোরাক করে একের পর এক পর মন্তব্য করতে থাকে নেটাগরিকদের একাংশ। একজন লিখেছেন, ‘ঐশ্বর্যকে কেন ট্যাগ করেননি? ছবিতে তিনিও ছিলেন।’ কেউ আবার অভিষেকের প্রসঙ্গে টেনে খোঁচা দিয়েছেন ‘ ভাইজান’-কে। লিখেছেন, ‘ঐশ্বর্যকে ট্যাগ করলে জুনিয়র বচ্চন রেগে যাবেন।’ এক নেটাগরিকের লেখায় আফসোসের সুর, ‘ওঁদের দু’জনের সন্তান হলে তারা খুব সুন্দর হত। কিন্তু সব নষ্ট হয়ে গেল।’
টুইটার ব্যবহার করেন না ঐশ্বর্য। তবে ইনস্টাগ্রামে ‘হম দিল দে চুকে সনম’-এর সঙ্গে জড়িত কিছু মুহূর্তের ছবি দিয়েছিলেন তিনিও। সঞ্জয়ের সঙ্গে একাধিক ছবি থাকলেও, কাউকেই নিজের পোস্টে আলাদা ভাবে উল্লেখ করেননি অভিনেত্রী।
ছবিতে শেষমেশ পূর্ণতা পায়নি সমীর (সলমন) এবং নন্দিনীর (ঐশ্বর্য) প্রেম। জীবনসঙ্গী হিসেবে বনরাজকে (অজয়) বেছে নিয়ে সমীরের থেকে দূরে সরে গিয়েছিল নন্দিনী। পর্দার এই গল্প খানিক মিলে যায় ঐশ্বর্য এবং সলমনের বাস্তবের সঙ্গে। সে কথাও ট্রোল, মিমের আকারে সলমনকে মনে করিয়ে দিয়েছেন অনেকে।