সলমন খান ও বাবা সিদ্দিকি। ছবি: সংগৃহীত।
বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর থেকে প্রতি মুহূর্তে তাঁর পরিবারের খেয়াল রাখছেন সলমন খান। গত ১২ অক্টোবর ছেলে জ়িশান সিদ্দিকির অফিস থেকে বেরোচ্ছিলেন বাবা সিদ্দিকি। সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। খুনের দায় স্বীকার করেন লরেন্স বিশ্নোই। সলমনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরেই এই খুন।
বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েন সলমনও। তাঁর বিপর্যস্ত অবস্থার ছবি ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমেও। প্রশ্ন ওঠে, সলমন কি আত্মগ্লানিতে ভুগছেন? বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর তাই নিজের দায়িত্ব নিয়ে খুবই সতর্ক ভাইজান। প্রতি রাতে জ়িশানকে ফোন করে খোঁজ নেন সলমন। বাড়ির সকলে কেমন আছেন, কী ভাবে তাঁদের দিন কাটছে— এই খোঁজখবর নেওয়া সলমনের এখন রোজের কাজ।
বাবা সিদ্দিকির ছেলে জ়িশান সিদ্দিকি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “বাবার মৃত্যুর পরে সলমন ভাই খুব ভেঙে পড়েছিলেন। বাবা ও সলমন ভাইয়ের সম্পর্ক একেবারে আপন ভাইদের মতোই ছিল। এখন রোজ রাতে সলমন ভাই ফোন করেন। ভাইয়েরও রাতে ঘুম আসে না। এই সব নিয়েই কথা হয়। তবে সলমন ভাই আমাদের পাশে আছেন।”
সলমন ছাড়া বলিউডের আরও কয়েক জন তারকা দুঃসময়ে সিদ্দিকি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত ও শিল্পা শেট্টি। তাঁরাও প্রায়ই সিদ্দিকি পরিবারের খোঁজখবর নিচ্ছেন। জ়িশান বলেছেন, “বাবার এই বন্ধুদের আমি সেলেব্রিটি হিসাবে দেখি না। এঁরা আমাদের বাড়িতে আসেন। বাবার এই বন্ধুরা আমাদের পরিবারের সদস্যের মতোই।”
গত কয়েক মাস ধরে সলমনের কাছে একের পর এক হুমকি এসেছে লরেন্স বিশ্নোইয়ের তরফে। এমনকি এ-ও বলা হয়েছিল, সলমনের ঘনিষ্ঠরাও রয়েছেন তাঁদের নিশানায়। বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পরে সলমনের নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। যদিও ঝুঁকি নিয়েই শুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন ভাইজান।