আমজনতার কাছে তাঁর অোনুরোধ সুরক্ষাবিধি মেনে চলুন, যাতে আমরা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি। সোজাসাপটা সলমন খান
salman khan

‘অক্সিজেন আর ওষুধ নিয়ে যারা কালোবাজারি করছে, তারা পাপের ফল পাবে’

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২১ ০৭:৪৯
Share:

সলমন খান।

প্র: ‘রাধে’- মতো লার্জার দ্যান লাইফ ছবি বড় পর্দায় এল না। কতটা মিস করবেন বিগ স্ক্রিনকে?

Advertisement

উ: বড় পর্দার জন্যই ‘রাধে’ বানানো। গত বছর ইদে আসার কথা ছিল, কিন্তু তখনও লকডাউন চলছিল। তাই ছবির মুক্তি এক বছর পিছিয়ে দিলাম। এই বছরও কমিট করেছিলাম যে, ইদে আসব। কিন্তু আবার লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে আমিও চাইব না দর্শক সিনেমা হলে এসে ছবিটা দেখুন। আমার ছবির জন্য কোভিড ছড়াক, এটা আমি কখনও চাইতে পারি না।

প্র: বিগ বাজেট এই ছবি বড় পর্দায় মুক্তি না পাওয়ায় তো অনেকটাই লোকসান হল?

Advertisement

উ: আসলে এখন ‘রাধে’ ওটিটি রিলিজ় করানোর একটাই কারণ, দর্শক যাতে নিরাপদে বাড়িতে বসে ছবিটা দেখতে পারেন। লোকসান তো হবেই, কিন্তু তার ভার আমি মাথা পেতে নিয়েছি। সব ঝামেলা মিটে গেলে আবার হলে রিলিজ় করাব।

প্র: এই খারাপ সময়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য, মানুষের জন্য অনেক সাহায্য করছেন...

উ: হ্যাঁ, এই সময়ে দাঁড়িয়ে শুধু হিন্দি নয়, অন্যান্য ভাষার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকেও সকলে এগিয়ে এসেছেন, মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। আর এটা শুধু এখন নয়, আগেও যখন দেশে কোনও বিপদ হয়েছে অভিনেতারা সব সময়ে এগিয়ে এসেছেন।

প্র: দেশের এই রকম সঙ্কটের মধ্যেও এখনও বহু মানুষ মাস্ক পরছেন না, দূরত্ববিধি মানছেন না, তাঁদের উদ্দেশে কোনও বার্তা দিতে চান?

উ: দেড় বছর হয়ে গেল, এখনও যদি মানুষ না বোঝে কবে বুঝবে? আর এই বার যে ওয়েভ এসেছে সেটা ভয়ঙ্কর। আগের বছর শুনতাম প্রতিবেশীর হয়েছে, অন্য জায়গায় হয়েছে। কিন্তু এ বার তো সবার বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়েছে কোভিড। তাই সকলকে একটা কথাই বলব, ভ্যাকসিন নিন। আমার মা-বাবার সেকেন্ড ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে। আর ১০-১৫ দিনের মধ্যে আমারও সেকেন্ড ডোজ় নেওয়া হয়ে যাবে। ভ্যাকসিন নিয়েও কোভিড হচ্ছে, তবে ভেন্টিলেশন অবধি পৌঁছতে হবে না। আমরা সবাই কাছের কাউকে না কাউকে হারিয়েছি। তাই প্রত্যেককে খুব সাবধানে থাকতে হবে।

প্র: শোনা যাচ্ছে, ‘রাধে লাভের অঙ্ক থেকে আপনি কোভিড রিলিফে দান করবেন?

উ: এই ফিল্ম থেকে আমার কোনও লাভ হবে না। হল রিলিজ় হলে লাভ হত। এখন উল্টে আমার পকেট থেকে টাকা যাবে। আগের বছরের মতো এই বছরও আমরা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পঁয়তাল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার কর্মীকে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি, যাতে কিছু দিন অন্তত ওঁদের সংসার চলে। আমার ভক্তরাও অনেক ভাল কাজ করছেন। নিজেদের খরচে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর কিনে বিলি করেছেন।

প্র: আপনার আর প্রভু দেবার টিউনিং সব সময়ে ভাল জমে। এর কারণ কী বলে মনে করেন?

উ: প্রভু অল-রাউন্ডার, আমার সঙ্গে ওর অনেক দিনের সম্পর্ক। হিরোদের তো বটেই দর্শকের পালসও ও খুব ভাল বোঝে। সেই ‘ওয়ান্টেড’ থেকে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা শুরু।

প্র: সাজিদ-ওয়াজিদ জুটির ওয়াজিদ চলে গেলেন। তাতে আপনিও খুব আঘাত পেয়েছিলেন...

উ: হ্যাঁ, ওরা দুই ভাই খুব ট্যালেন্টেড। যত দিন আমি বেঁচে আছি ওয়াজিদকে ওর সঙ্গীতের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখব। আমার কাছে ওর গাওয়া অনেক গান রয়েছে যেগুলো এখনও বেরোয়নি।

প্র: এই অস্বাভাবিক সময়ে নিজেকে আশাবাদী রাখেন কী ভাবে?

উ: বি স্ট্রং, স্টে স্ট্রং— এগুলো বলা খুব সহজ। যাঁরা প্রিয়জনকে হারাচ্ছেন বা খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, শুধু তাঁরাই সেই দুঃখটা অনুভব করতে পারেন। আমার কাছে দিনে অজস্র মেসেজ আর কল আসে, অক্সিজেন সিলিন্ডার বা হাসপাতালে বেডের জন্য অনুরোধ করে। আমি কখনও একজনকে বঞ্চিত করে অন্যকে সাহায্য করি না। শুধু একটাই অনুরোধ সকলকে, লকডাউন, সুরক্ষাবিধি মেনে চলুন, যাতে আমরা তাড়াতাড়ি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারি। একটা ব্যাপার দেখলে মাথা ঠিক রাখতে পারি না, তা হল ওযুধ আর অক্সিজেন নিয়ে কালোবাজারি। যারা এটা করছে তারা পাপের ফল পাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement