জড়িয়ে ধরে গলায়, গালে চুম্বন, সলমনের সঙ্গেই কি এগোচ্ছেন শেহনাজ়? ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের এক ও অদ্বিতীয় ‘ভাইজান’ তিনি। সবার সঙ্গেই ভাইয়ের মতো সম্পর্ক, তবে একটাই দুঃখ তাঁর মনে, কারও ‘জান’ আর হয়ে ওঠা হল না তাঁর। তবে সেই দুঃখ ঘোচার সময় বোধ হয় হয়ে এসেছে এ বার। বলিপাড়ার অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, সম্প্রতি নাকি এক রূপসীর প্রতি দুর্বলতা বেড়েছে সলমন খানের।
গত বছর সলমন খানের বোন অর্পিতা খান শর্মার ইদের পার্টিতেই চোখে পড়েছিল সলমন খান ও নবাগতা অভিনেত্রী শেহনাজ় গিলের রসায়ন। ‘বিগ বস্’-এর সৌজন্যে আগেও বার বার নজরে এসেছে তাঁদের বিশেষ বন্ধুত্ব। তবে ইদের পার্টিতে যেন সলমনকে কাছছাড়া করতেই চাইছিলেন না শেহনাজ়। পার্টি থেকে বেরোনোর সময় ক্যামেরার সামনে সলমনের হাত ধরেই উপস্থিত হন তিনি। সেখানেই শেষ নয়, তাঁর আবদারে শেহনাজ়কে গাড়ি পর্যন্ত ছেড়ে আসেন সলমন। ক্যামেরার সামনে এক বারের জন্যেও সলমনের হাত ছাড়েননি শেহনাজ়। একাধিক বার জড়িয়ে ধরেছেন ‘ভাইজান’কে। কখনও চুম্বন এঁকেছেন সলমনের গালে, কখনও আবার তাঁর গলার পাশে। শেহনাজ়ের এমন কাণ্ড দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন, বুঝি একে অপরের প্রেমে পড়েছেন সলমন ও শেহনাজ়। চলতি বছরের ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবির প্রচারেও ক্যামেরার সামনেই প্রাক্তন সিদ্ধার্থ শুক্লাকে ভুলে শেহনাজ়কে এগিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বলিউডের ভাইজান। স্বাভাবিক ভাবেই, সবার একটাই প্রশ্ন, ‘‘তবে কি একে অপরকে মন দিয়েছেন সলমন ও শেহনাজ়?’’ এক অনুষ্ঠানে এসে এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন সলমন নিজে। তিনি বলেন, ‘‘আমি ওকে বলেছি নিজের জীবনে এগিয়ে যেতে। সিদ্ধার্থ আর বেঁচে নেই। তিনিও নিশ্চয়ই এটাই চাইতেন যে, শেহনাজ়ের একটা সংসার হোক, ওর নিজস্ব পরিবার হোক। এখনই নয়, অনেক সময় আছে। কিন্তু এগোতে তো হবে!’’ তার পরেই সলমনের গলায় সাফাইয়ের সুর। তিনি বলেন, ‘‘এগোতে বলেছি মানেই সেটা নিজের কথা ভেবে বলেছি, তা নয়। আমি ওকে ওর জীবনে এগোনোর পরামর্শ দিয়েছি, আমার হাত ধরে এগোতে বলিনি।’’
সম্প্রতি নিজের প্রেমজীবন নিয়ে একাধিক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন সলমন খান। তাঁর মতে, প্রেমে তিনি বরাবর পিছিয়ে, তাঁর ভাগ্যই নাকি তাঁর সঙ্গ দেয় না। তবে একাধিক বিচ্ছেদের জন্য নিজেকেই দায়ী করেছেন বলিউডের ভাইজান। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথম বার কেউ ছেড়ে চলে গেলে সেটা তাঁর দোষ। দ্বিতীয় বার কেউ চলে গেলেও তাই। তৃতীয় বারেই তাই। কিন্তু চতুর্থ বার থেকে আমার মনে সন্দেহ তৈরি হতে থাকে যে, দোষ কি তা হলে আমার? পঞ্চম বার, ষষ্ঠ বারও একই ঘটনা ঘটলে বুঝতে হবে যে দোষটা আসলে আমার নিজেরই। সত্যিই তো, দোষ আমারই!’’