বরুণ। ছবি: রণজিৎ নন্দী
নব্বইয়ের দশকে সলমন খানকে নিয়ে ‘জুড়ুয়া’ তৈরি করে মেগাহিট দিয়েছিলেন ডেভিড ধবন। ঠিক ২০ বছর পরে রাজা-প্রেমের সেই জুটিকেই ডেভিড ফিরিয়ে আনছেন বড় পরদায়। তবে এ বার আর সল্লু মিঞা নন, ‘জুড়ুয়া টু’র গাড়িতে চেপেছেন ডেভিড-পুত্র বরুণ ধবন। করিশ্মা কপূর, রম্ভার পরিবর্তে রয়েছেন তাপসী পান্নু এবং জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ।
প্র: ‘জুড়ুয়া টু’তে আপনার অভিনয়ের কথা শুরু থেকেই ছিল?
উ: সাজিদ নাদিয়াদওয়ালারই আইডিয়া ছিল ‘জুড়ুয়া টু’ বানানোর। অনেক বছর ধরেই বাবার সঙ্গে ওঁর কথাও চলছিল। কিন্তু আমি কোনও দিনই সেই আলোচনায় ছিলাম না। বাবা আমাকে বলেছিল, ‘‘আজ আমি তোমাকে নিয়ে ‘জুড়ুয়া টু’ বানাতে পারি। কারণ, তুমি এখন একজন স্টার।’’
প্র: সাধারণত কোনও ছবির সিক্যুয়েল হয়। এ ক্ষেত্রে বারবারই বলা হচ্ছে ‘জুড়ুয়া টু’ অরিজিন্যালটার রিবুট। এ রকম ভাবনা কেন?
উ: প্রায় ২০ বছর আগে সলমনের ‘জুড়ুয়া’ রিলিজ করেছিল। আমি ও আমার মতো অনেকেই নব্বইয়ের দশকে এই ছবিগুলো দেখেই বড় হয়েছি। এখন নতুন সিনে-গোয়ারস হয়েছে। এই জঁরটাও প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। পাঁচ-ছ’টা সিন একদম একই রাখা হয়েছে। আপনি যদি অরিজিন্যাল ‘জুড়ুয়া’ দেখে থাকেন, তা হলে সহজেই সেই জায়গাগুলো ধরতে পারবেন।
প্র: বাবার কাছ থেকে বিশেষ কোনও সাহায্য পেয়েছিলেন?
উ: এই ছবিটা করতে আমি ভীষণ আগ্রহী ছিলাম। কারণ, এটা পুরো আইডেন্টিকাল টুইনসের গল্প। বেসিক্যালি মানুষের ইমোশন নিয়ে তৈরি এই ছবিটা আগেও চলেছিল। আর আশা করি, একই ভাবে এ বারও ভালই চলবে। বাবা বলেছিল গুলজার সাবের ‘অঙ্গুর’ দেখতে। এটা ছাড়াও আমি বেশ কয়েক বার শ্রীদেবীর ‘চালবাজ’ও দেখেছি।
প্র: স্বাভাবিক ভাবেই চলে আসে সলমনের সঙ্গে তুলনা...
উ: ছবিটার অরিজিন্যাল ফ্যান বেসের ক্ষেত্রে বিষয়টা খুবই ট্রিকি। ঠিক করাটাই আসল ব্যাপার। আর অন্য চ্যালেঞ্জটা হল কনটেম্পোরারি ভাবে টাপোরির চরিত্রে অভিনয় করা। আমি চেষ্টা করেছি ছবির অরিজিন্যাল ফ্যানদের হতাশ না করতে। যখনই ছবিটার সিক্যুয়েল না করে রিবুটের ভাবনা হয়েছিল, অর্থাৎ প্রায় দু’শতক পরে ফের ফিরিয়ে আনা হয়েছে দুটো মুখ্য চরিত্রকে, তখনই জানতাম যে, চাপ আর চাহিদা থাকবেই। আমি খুশি যে, সেই চাহিদাটা এখনও আছে।
প্র: আর চাপ?
উ: মারাত্মক নার্ভাস ছিলাম। কোনও শট ঠিক হয়ে যাওয়ার পরে দেখতাম জ্যাকি আর তাপসী দিব্যি ঘুরে বে়ড়াচ্ছে, মজা করছে। আর আমি আর একটা শট ওকে হয়ে যাওয়ার পরও রিটেক চাইতাম। এতটাই টেনশন হতো।
প্র: আর খোদ সলমনের থেকে কোনও টিপস পাননি?
উ: সলমন আমাকে বলেছিলেন, ‘‘আই হ্যাভ টু উইন দেম ওভার।’’ সলমন যদি ওই দুটো চরিত্রকে আইকনিক না করে তুলতেন, তা হলে ‘জুড়ুয়া টু’ কখনও সম্ভব হতো না। সলমনই আসল ‘রাজা-প্রেম’। তা-ই থাকবেন।
প্র: আপনার ফিল্ম কেরিয়ারে ১০টা ছবির মধ্যে ন’টাই রম-কম। ‘বদলাপুর’-এর মতো ছবির সংখ্যা কম কেন?
উ: পরপর তিনটে কমেডি ছবি করেছি। এই কমেডি ট্রিলজির পর আসছে অন্য ধারার ‘সুই ধাগা’ আর সুজিতদা’র (সরকার) নির্দেশনায় ‘অক্টোবর’। বেশ বড় একটা প্রজেক্টেরও কথা চলছে। তবে সেটা নির্দেশকদের ঘোষণার জন্যই আপাতত তোলা থাক (হেসে)।