শরিফুলের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল। ছবি: সংগৃহীত।
সইফের উপর হামলার ঘটনায় একের পরে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। ১৬ জানুয়ারি অভিনেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদকে। তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে মুম্বই পুলিশ। জানা গিয়েছে, আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকতে হবে শরিফুলকে। সূত্রের দাবি, এই ঘটনায় তদন্তের জন্য পুলিশের আরও কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। সেই দাবিকেই মান্যতা দিয়েছে মুম্বইয়ের এক আদালত।
হামলার ঘটনার তিন দিনের মাথায় মুম্বই পুলিশের জালে আসেন শরিফুল ইসলাম। ঘটনায় একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। সইফ আলি খান জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তিনি ও করিনা ছিলেন তাঁদের শয়নকক্ষে। হঠাৎই পরিচারিকার চিৎকার শুনে তিনি ছুটে যান। তখনই সইফের উপর চড়াও হন শরিফুল। ছ’বার ছুরিকাঘাতে সইফকে রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত করেন তিনি। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, বান্দ্রার অভিজাত সৎগুরু শরণ আবাসনে পাঁচিল টপকে প্রবেশ করেছিসেনন শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ। তার পরেই তিনি চলে যান সোজা ১০ তলায়, সইফ আলি খানের ফ্ল্যাটে। এক কোটি টাকা দাবি করেন।
পুলিশ আগেই জানিয়েছে, ধৃত শরিফুল বাংলাদেশের নাগরিক। অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন তিনি। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল নাকি স্বীকার করেছেন সইফের বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশেই ঢুকেছিলেন। কিন্তু শরিফুলকে নিয়ে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ধৃত শরিফুল ও সিসিটিভিতে যে ব্যক্তিকে দেখা যায়, তাঁদের মুখের মিল নেই বলেই দাবি একটা বড় অংশের। এ বার তাতেই সিলমোহর দিলেন ধৃত শরিফুলের বাবা। তিনি নিজেকে বিএনপির নেতা হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, হাসিনা সরকারের কারণেই ছেলেকে নাকি বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসতে হয়, এমনও জানিয়েছেন তিনি।