ফাইল চিত্র।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঐন্দ্রিলা শর্মাকে আগলেছেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলা ফুসফুসের ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছিলেন। সব্যসাচী চৌধুরী যেন জীবন আর মৃত্যুর মাঝে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সময় বদলেছে। ঐন্দ্রিলা হারিয়ে দিয়েছেন মারণ ব্যাধিকে। তাই আপাতত প্রেমিকের দায়িত্ব তিনিই বহন করছেন! ফলাফল? সোমবারের মতো কেজো দিনে পর্দার ‘বামদেব’কে দিব্যি কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন!
সেই ছবি জ্বলজ্বল করছে অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম পাতায়। জিন্সের হট প্যান্ট। হলুদ গেঞ্জি। ঘাড়ের উপরে এক মাথা চুল। পায়ে স্পোর্টস শ্যু। ঐন্দ্রিলা পুরো টমবয়! এই সাজেই তিনি বেড়াতে বেরিয়ে পড়েছেন প্রেমিককে নিয়ে। পৌঁছে গিয়েছেন খড়্গপুর। সম্ভবত আইআইটি খড়্গপুর ক্যাম্পাসে কোলে তুলে নিয়েছেন সব্যসাচীকে। অভিনেতার গাম্ভীর্য পুরো ধুলোয় মিশিয়ে ছেড়েছেন। সব্যসাচীও বোধহয় এই মুহূর্তের জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না। স্বাভাবিক ভাবেই অপ্রস্তুত হাসি ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর মুখে-চোখে। ছবির সঙ্গে মন্তব্য লিখতেও ভোলেননি ঐন্দ্রিলা। সব্যসাচীর সঙ্গে তাঁর খুনসুটি, দেখো, ‘আমি কত শক্তপোক্ত!’ পাশে ‘ঢাই কিলো কা হাত’-এর ছবি। কে বলবে, কিছু দিন আগেই তিনি মৃত্যু দেখে ফিরেছেন?
প্রেমিকার কোলে চেপে কেমন লাগল? সব্যসাচীকে ফোন করে জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। জবাব ঢেকেছে জোরালো হাসিতে। তার পরেই দাবি, ‘‘আমি ওর এই হাবেভাবে ভয়ই পাই। সে সব ঐন্দ্রিলা থোড়াই পাত্তা দেয়। ও ওর মতোই সারা ক্ষণ আনন্দে মেতে থাকে। মাঝেমাঝে আমাকেও তাল মেলাতে হয়।’’ ফেব্রুয়ারি মাসে ধারাবাহিক ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এর শ্যুট শেষ। সব্যসাচী টানা তিন মাস ক্যামেরামুখো হননি। প্যাশন থেকে দূরে থাকছেন কী করে? সঙ্গে সঙ্গে গুরুগম্ভীর উত্তর, নতুন চরিত্রে প্রবেশ করতে গেলে আগের চরিত্র থেকে বেরোতে হয়। তার জন্যই এই ছুটি নিয়েছেন। স্টার জলসার সঙ্গে তিনি চুক্তিবদ্ধ। চ্যানেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা চলছে। হয়তো খুব শিগগিরিই ছোট পর্দায় ফিরবেন কোনও ধারাবাহিকে।