শুটিংয়ে সায়নী ও সোমরাজ।
বিয়ে করেছেন আপনি? কিন্তু হনিমুন পিরিয়ড কাটতেই কি অশান্তি শুরু? মনে হচ্ছে কি বিয়ের সিদ্ধান্তটাই ভুল ছিল?
আপনার সঙ্গে হয়তো এমনটা হয়নি। কিন্তু এ হেন বহু উদাহরণ ছড়িয়ে রয়েছে আমাদের দৈনন্দিনে। যদি বিয়ের আগেই একসঙ্গে থেকে দুটো মানুষ একে অপরকে পরখ করে নেওয়ার সুযোগ পেতেন? তা হলে কি বদলে যেত ছবিটা?
এই প্রশ্নগুলোই ভাবিয়েছিল পরিচালক জুটি অভিজিত্ গুহ ও সুদেষ্ণা রায়কে। সেখান থেকেই দানা বেঁধেছে তাঁদের নতুন ছবি ‘চলো লেটস্ লিভ’। আগামী ১১ জুন সন্ধে ছ’টায় টিভির পর্দা তার ঠিকানা।
কিন্তু বিয়ের আগে লিভ ইনের ভাবনাটা কি খুব নতুন?
আরও পড়ুন, চৌরঙ্গি লেনে হাতেখড়ি মায়ের, ম্যাকলাস্কিগঞ্জে যাত্রা শুরু কঙ্কনার
২০১৭-র কলকাতা তো কিছুটা হলেও এমনটা দেখতে অভ্যস্ত। সুদেষ্ণা বললেন, ‘‘আরবান লাইফে অনেকে এমন করছেন ঠিকই। কিন্তু বাবা-মা অর্থাত্ একটা জেনারেশনের কাছে এটা এখনও মেনে নেওয়া কঠিন। সেটাই তুলে ধরেছি আমরা। আমাদের প্রায় প্রত্যেকটা ছবির মতো এখানেও হিউমার একটা বড় পার্ট। এ ছাড়া কন্যা সন্তান যে সমাজে এখনও অবাঞ্ছিত সেটাও রয়েছে এখানে।’’
ছবিতে মফস্সলের মেয়ে রাহির বিয়ের আগে লিভ ইনের প্রস্তাব শুনে চমকে যান তাঁর প্রেমিক অর্জুন। তিনি বলে ওঠেন, ‘‘তোকে দেখে তো মনে হয় না তুই এমন!’’ বিয়ের আগেই সংসার পাতেন তাঁরা। পরিচারিকা লক্ষ্মী তাঁদের দেখে অবাক হন। সন্তানসম্ভবা হয়েও মদ্যপ বরের হাতে মার খান তিনি। তৃতীয় বারও যদি কন্যা সন্তান হয়, এই ভয়ে দিন কাটে তাঁর। তখনই পাশে পান রাহিকে।
ছবির একটি দৃশ্যে সায়নী ও সোমরাজ।
রিল লাইফের ‘রাহি’ অর্থাত্ সায়নী ঘোষ শেয়ার করলেন, ‘‘মফস্সলের পার্টটা বাদ দিলে রাহি অনেকটা আমার মতোই। আমার কথা ভেবেই যেন স্ক্রিপ্টটা লেখা হয়েছে। আর আমি যদি কোনও দিন লিভ ইন করি তা হলে কী কী করব, আর কী কী করব না— এই ছবিটা করতে গিয়ে সেটা শেখা হয়ে গিয়েছে।’’
‘চলো লেটস্ লিভ’-এ ‘অর্জুন’-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ছোট পর্দার পরিচিত মুখ সোমরাজ মাইতি। এটাই তাঁর ডেবিউ ফিল্ম। সোমরাজের কথায়, ‘‘সিরিয়ালে কখনও কখনও লাউড অভিনয় করতে হয় আমাদের। কিন্তু সিনেমায় ন্যাচারাল রিঅ্যাকশন দেওয়া যায়। সেটা নিয়ে আমি এক্সাইটেড। শুটিংয়ের প্রথমে একটু ভয় ছিল আমার। সেই ভয়টা কাটিয়ে দিয়েছেন পরিচালকরাই।’’ এই ছবিতে পরিচারিকা ‘লক্ষ্মী’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পিঙ্কি।