রাসেল ব্র্যান্ড ও কেটি পেরি। ছবি: সংগৃহীত।
যৌন নির্যাতন, হেনস্থা ও ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ব্রিটিশ কৌতুকশিল্পী ও অভিনেতা রাসেল ব্র্যান্ড। খ্যাতির শীর্ষে থাকাকালীন নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে একাধিক প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা ও এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ ব্রিটিশ কৌতুকাভিনেতার বিরুদ্ধে। খবর, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে একাধিক এমন হেনস্থার ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাই নন, ১৬ বছর বয়সি এক নাবালিকার উপরেও যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে রাসেলের বিরুদ্ধে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রিটিশ কৌতুকাভিনেতা।
এক যৌথ তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে পপ তারকা কেটি পেরির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় এক মহিলাকে ধর্ষণ করেন রাসেল ব্র্যান্ড। লস অ্যাঞ্জেলেসে নিজের বাড়িতে ডেকে এনে তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন রাসেল, অভিযোগ নির্যাতিতার। ঘটনার পরে সাহায্য চেয়ে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা। নিজের অভিযোগের সাপেক্ষে সব প্রমাণ রয়েছে তাঁর কাছে, জানান ওই নির্যাতিতা। শুধু তাই-ই নয়, ৩১ বছর বয়সে ১৬ বছর বয়সি এক নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন তাঁর উপরেও নাকি অকথ্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন রাসেল। তদন্ত চলাকালীন তিন মাসের সম্পর্কের ওই ভয়াবহতার কথা জানিয়েছেন নির্যাতিতা।
২০০৯ সালে পপ তারকা কেটির সঙ্গে আলাপ হয় রাসেলের। এক বছরের মাথায় ২০১০ সালে ভারতে এসে গাঁটছড়া বাঁধেন যুগল। মাত্র ১৪ মাস টিকেছিল তাঁদের দাম্পত্য। পরে এক সাক্ষাৎকারে কেটি জানান, একটি অনুষ্ঠানে তাঁর মঞ্চে ওঠার আগের মুহূর্তে রাসেল তাঁকে মেসেজ করে জানিয়েছিলেন বিবাহবিচ্ছেদের কথা। এক বছরের কিছুটা বেশি সময়ের দাম্পত্যজীবনে নাকি বরাবর তাঁর উপরে জোর খাটাতে চাইতেন রাসেল। কেটি তা না মেনে না নেওয়ার ফলেই অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে বিচ্ছেদের দিকে গড়ায় তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক।