ফাইল চিত্র
‘ছেলে’ হিসেবে লজ্জিত রূপঙ্কর বাগচী। বৃহস্পতিবার ছিল শিল্পীর মা সুমিত্রা বাগচীর জন্মদিন। কেকে-কাণ্ডে তাঁর প্রয়াত মা-ও ধর্ষণের হুমকি পেয়েছিলেন। মাকে স্মরণ করে এ দিন তাঁর প্রিয় গান শুনিয়েছেন গায়ক সন্তান। পাশাপাশি, লজ্জায়-যন্ত্রণায় মাখানো একটি বার্তাও দিয়েছেন, ‘মা, তোমার আজ জন্মদিন। তুমি যদি বেঁচে থাকতে তা হলে তোমার বয়স হত ৭৩। ভালই হয়েছে তুমি আর নেই মা। না হলে এই বয়সে ধর্ষণের হুমকি পেতে হয়তো! কারণ তোমার ছেলের নাম রূপঙ্কর।’
রূপঙ্কর কি এখনও কেকে-যন্ত্রণায় ভুগছেন? সেই যন্ত্রণার ছায়া মায়ের জন্মদিনেও? শিল্পীকে প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। জবাবে তাঁর কথায়, ‘‘আমার মা দু’মাস আগে নেটমাধ্যমে সত্যিই ধর্ষণের হুমকি পেয়েছিলেন! কিছু মানুষ এই হুমকি দিয়েছিলেন। সে দিন খুব লজ্জা লেগেছিল। আমার মা খুব সাদামাঠা। তিনি নিজের চোখে এই বার্তা পড়লে প্রচণ্ড আহত হতেন। আমার কারণে এই আঘাত পেতেন। মা নেই। তাই এই অপমানের হাত থেকে রেহাই পেলেন। সেটাই আমার কাছে একই সঙ্গে যন্ত্রণা এবং স্বস্তির।’’
‘জাতিস্মর’ শিল্পীর মত, জনপ্রিয়তার কারণে তারকাসুলভ জীবন হয়তো তাঁকে যাপন করতে হয়। কিন্তু বাগচী পরিবার সব সময়েই মাটির কাছাকাছি থাকতে ভালবাসে। আবার শিল্পীকে প্রকাশ্যে কটূক্তি করলে তাঁর মেয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করে। কী ভাবে এই খারাপ লাগাকে অতিক্রম করছেন তিনি? রূপঙ্কর জানিয়েছেন, তিনি সব কিছুই এখন ইতিবাচক ভাবে দেখার চেষ্টা করছেন। বুঝতে পারছেন, নানা কারণে এই প্রজন্মের ধৈর্য কমেছে। অনেক সমস্যায় তারা জর্জরিত। ফলে, নিজেদের ভিতরে জমে থাকা রাগ তারা নেটমাধ্যমে কোনও একজনকে ‘লক্ষ্য’ বানিয়ে উগরে দিচ্ছে। যখন রাগ, ক্ষোভ, হতাশা গ্রাস করছে শিল্পীকে, তখনই তিনি নিজেকে এ ভাবে বোঝাচ্ছেন।
‘গায়ক’ রূপঙ্কর কি আগের মতোই শ্রোতাদের কাছে গ্রহণযোগ্য? শিল্পীর কথায়, ‘‘গান গাইছি। রেকর্ডিংও করছি। মঞ্চেও বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান করলাম। শ্রোতারা শুনতে এসেছিলেন। আবার বেশ কিছু অনুষ্ঠান উদ্যোক্তারাই বাতিল করেছেন। যদি কোনও গন্ডগোল হয়! এই ভয়ে। এই ভাবেই মিলিয়ে-মিশিয়ে চলছে।’’