কেকে এবং রূপঙ্কর বাগচী।
ফের রূপঙ্কর বাগচীর পোস্টের ভুল ব্যাখ্যা করলেন তাঁর অনুরাগীরা। সোমবার দক্ষিণ কলকাতার একটি অনুষ্ঠান মঞ্চে গাইতে এসেছিলেন বলিউডের তারকা গায়ক কেকে। নেটমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে বাংলার অনুরাগীদের উল্লাস চোখে বিঁধেছে জাতীয় পুরস্কারজয়ী গায়কের এবং সেই জায়গা থেকেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘কেকে সত্যিই খুব ভাল গায়ক। কিন্তু ওঁর লাইভ ভিডিয়ো দেখার পরে উপলব্ধি হল, কেকে জাতীয় স্তরে যে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বাংলার শিল্পীরা কোনও অংশে কম নন। আমি, রূপম ইসলাম, অনুপম রায়, ইমন চক্রবর্তী, সোমলতা আচার্য— আমরা সবাই কেকের থেকে ভাল গান গাই!’’
গায়কের এই বক্তব্য কটাক্ষের বানভাসির জন্য যথেষ্ট। সঙ্গে সঙ্গে তেড়ে এসেছেন নেট ব্যবহারকারীরা। তাঁদের মতে, ‘আপনার প্রতি যাঁদের যে শ্রদ্ধাটুকু আছে সেটুকুও হারাবেন। ভাল থাকুন সুস্থ হয়ে উঠুন।’ কেউ তাঁকে ‘হিংসুটে’ তকমাও দিয়েছেন! লিখেছেন, ‘মিস্টার বাগচী, আপনাকে বলছি। শুনুন। সবার প্রথমে একটা দশমিক বসান, তার পরে একশটা শূন্য বসিয়ে একটা এক লিখুন। তার পরে একটা পার্সেন্টেজ চিহ্ন বসান। যে সংখ্যাটা দাঁড়াল, শতকরা সেই ভাগটুকু যদি আপনার যোগ্যতা থাকত একজন শিল্পী হওয়ার, তা হলে আপনি এই কথাগুলো বলতে পারতেন না। আপনি পুরোপুরিভাবে আত্মকেন্দ্রিক এবং হিংসুটে একজন মানুষ।’
কোন অনুভূতি থেকে হঠাৎ এই ধরনের মন্তব্য রূপঙ্করের? কেকে-র প্রতি কেনই বা এত রাগ তাঁর?
জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। গায়কের কথায়, ‘‘কেকে-র প্রতি আমার কোনও রাগ নেই। শুধু কেকে কেন, অন্য ভাষার কোনও গায়ক বা গায়িকার প্রতিই আমার অসূয়াও নেই। আমার অনুরোধটুকুই কেউ বোঝেননি। ফেসবুকে আমি বলেছি, আপনারা মুম্বইকে নিয়ে এত মাতামাতি করে যাচ্ছেন। দক্ষিণ ভারতকে দেখুন, পঞ্জাবকে দেখে শিখুন, ওড়িশাকে দেখুন। বাঙালি হন। বাঙালি হন প্লিজ!’’ ‘বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান’-এর মতোই কি এ বার ‘বাংলা গানের পাশে দাঁড়ান’ বলতে চাইছেন তিনি? গায়কের ব্যাখ্যা, তাঁর দাবি, বাংলার যে কোনও জিনিসের প্রতি একই উন্মাদনা থাকুক বাঙালির। সেটা বাংলা গান, ছবি, আঁকা, সংস্কৃতি— যা খুশি হতে পারে। অন্য ভাষাভাষীদের নিজের ভাষার প্রতি সেই সম্মান, শ্রদ্ধা, ভালবাসা আছে। তাই সেই ভাষার শিল্প-সংস্কৃতির এত অগ্রগতি। তার পরেই রূপঙ্কর ফের কড়া সমালোচক, ‘‘আমি জানি, আমার এই বক্তব্য অধিকাংশ জনই বোঝেননি। কিচ্ছু করার নেই। মাথায় গোবর পোরা থাকলে এই অনুভূতি বুঝবেন কী করে?’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।