রূপমের লেখা দ্বিতীয় কবিতার বই প্রকাশ। ছবি: সংগৃহীত।
তিনি বাংলার রকস্টার। মঞ্চে তাঁকে দেখলে উপস্থিত শ্রোতা-দর্শক ভেসে যান সুরের মূর্ছনায়। আবার তাঁর গান থেকেই প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পান অনুরাগী শ্রোতারা। তবে শুধু গান নয়। তাঁর কবিসত্তাও স্পর্শ করেছে অনুরাগীদের। এমনকি স্বয়ং জয় গোস্বামীর থেকে এসেছে লেখার প্রশংসা।
শনিবার প্রকাশিত হয়েছে রূপমের লেখা কবিতার বই ‘নীলাভ এক, নিদ্রাবন্দর’। শিল্পীর লেখা দশম গ্রন্থ এটি। আনন্দবাজার অনলাইনকে শিল্পী বলেন, “আমি লিখে খুব আনন্দ পাই। অনেকে আমার বই পড়ে আনন্দ পান। লেখা আমার আনন্দের প্রকাশ। আমি কিন্তু লেখালিখি দিয়েই শুরু করেছিলাম। গান গাওয়ার পাশাপাশি লেখা ও সুর তৈরি করার দিকে বরাবর ঝোঁক ছিল। আমি সব সময়েই নতুন কিছু সৃষ্টি করতে চেয়েছি। আমার বাড়িতেই এই আবহ দেখে আমি বড় হয়েছি। বাড়ির ধারা এমনই ছিল। সেই জায়গা থেকেই আমার লিখতে ভাল লাগে।”
রূপম আরও বলেন, “এটা আমার লেখা কবিতার দ্বিতীয় বই। যদিও আমার গানের মধ্যেও কাব্য রয়েছে।” গত বছর রূপমের লেখা প্রথম কবিতার বই ‘তীরে এসো সাহসিনী’ মুক্তি পেয়েছিল। তার পর নানা জনের প্রশংসা পেয়েছেন শিল্পী। তিনি বলেন, “ওই কবিতার বই প্রকাশ হওয়ার পরে অনেকে ভালবাসা দিয়েছেন। সব পাঠক মহল থেকেই ভাল প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, সেটাই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তাই আর একটা পাণ্ডুলিপি তৈরি করেছিলাম।”
প্রথম কবিতার বইয়ের জন্য কবি জয় গোস্বামী প্রশংসা করেছিলেন। রূপমের কথায়, “জয় গোস্বামী বলেছিলেন, ‘খুব ভাল লেগেছে। আপনি ব্যস্ত মানুষ। তা-ও দু’-এক বছরে এই মাপের একটা করে অন্তত কবিতার বই প্রকাশ করবেন। সেটা পড়ার জন্য আমি বেঁচে থাকব।’ এটা আমার জীবনের জন্য খুব বড় একটা কথা। জয় গোস্বামী আমার অন্যতম প্রিয় কবি। এ ছাড়াও বহু কবির লেখা আমার ভাল লাগে। যেমন সুবোধ সরকরের কবিতা পড়ি। তিনিও আমার কবিতা পড়ে উৎসাহ জুগিয়েছিলেন ব্যক্তিগত ভাবে। আমার থেকে তাঁদের কিছু প্রত্যাশা রয়েছে। সেটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো।”