জমজমাট জন্মদিন উদ্যাপন রাহুলের
সাদা, বেগুনি, কালো বেলুনে সেজে উঠেছে রেস্তঁরার একাংশ। টেবিলে সাজানো কেক। কেউ নিজস্বী তুলতে ব্যস্ত। সবার মুখেই তৃপ্তির হাসি। উপলক্ষ রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। আয়োজক রুকমা রায় এবং তাঁদের পুরো টিম। শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততার ফাঁকেই নিজেদের রাহুলের জন্য বিশেষ কিছু করার পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন তাঁরা।
আনন্দবাজার অনলাইনকে রাহুল বললেন, “সবাই বলছিল বিজয়া সম্মিলনী। কিন্তু আমি বেশ আঁচ করতে পারছিলাম যে জন্মদিন উপলক্ষেই ওরা কিছু পরিকল্পনা করছে। আমি অবশ্য না জানার ভান করেছিলাম।” আর রুকমা? আসল উদ্যোক্তা যিনি। তিনি কী বললেন?
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় রুকমার সঙ্গে। তিনি বলেন, “দক্ষিণ কলকাতার এক রেস্তঁরায় জমিয়ে খাওয়াদাওয়া হয়েছে। মূলত দক্ষিণী খাবার। আমার আর রাহুলদার একটা নির্ভেজাল বন্ধুত্ব আছে। সেই বন্ধুত্ব থেকেই অনেক শুভ কামনা রাহুলদার জন্য।” আর উপহার? কাছের বন্ধুর জন্য কী উপহার তুলে রেখেছেন রুকমা। বললেন, “একটা বই দেব।” রাহুল যে বই পড়তে ভালবাসেন তা সবার জানা। অভিনেতার প্রিয় তেমনই এক উপহার রয়েছে নায়িকার ঝুলিতে। কার লেখা বই উপহার দিলেন তিনি? প্রশ্নে রুকমার স্পষ্ট জবাব, “সব বলে দেব! কিছুটা ব্যক্তিগত থাক।”
রাহুল অবশ্য এত আয়োজনে একটু লজ্জাই পান। তাঁর কথায়, “এমন ভাবে উদ্যাপন করতে বেশ লজ্জা লাগে। তবে সবার উৎসাহ দেখে মন্দ লাগেনি। রবিবার শ্যুটিংয়ের পর স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে খাওয়াদাওয়া হবে। সহজ আসতে পারছে না। ও মায়ের সঙ্গে রামপুরহাট গিয়েছে শ্যুটিংয়ে। রাত হবে ফিরতে। সোমবার উদ্যাপন করা হবে।”
৩৯টা বসন্ত পার করে ফেললেন অভিনেতা। এখনও অনেক পথ চলা বাকি। দক্ষিণী খাবার, কাছের মানুষের ভালবাসা, আদরে পরিপূর্ণ রাহুলের বিশেষ দিন।