Ronit Roy

খাওয়ার বিরতিতে গোগ্রাসে গিলে ৪৫ মিনিট ঘুমিয়ে নিতেন রণিত! হিট ধারাবাহিকে কাজ করা সহজ ছিল না

একসঙ্গে দুটি জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করতে গিয়ে দিন-রাত এক হয়ে গিয়েছিল রণিত রায়ের। বাড়ি ফিরতেই পারতেন না। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে খাওয়ার বিরতি পেলে একটু করে ঘুমিয়ে নিতেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২২ ১৫:২২
Share:

দুই জনপ্রিয় ধারাবাহিক কী হাল করেছিল রণিতের?

‘কসৌটি জিন্দেগি কে’-র ঋষভ বাজাজকে মনে পড়ে? নব্বইয়ের দশকে আট থেকে আশি তাকে এক ডাকে চেনে ওই চরিত্রেই। বিনোদন জগতে রণিত রায়ের জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পিছনেও সেই ধারাবাহিক। শ্বেতা তিওয়ারি অভিনীত প্রেরণা চরিত্রের স্বামী ছিল পেশায় শিল্পপতি ঋষভ বাজাজ। পরে তাঁকে ‘কিঁউ কি সাস ভি কভি বহু থি’ নামের আর এক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে মিহির ভিরানির চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। টেলিভিশনের পর্দায় তাঁর খ্যাতি তরতরিয়ে বাড়ছিল সেই সময়েই। তবে এর জন্য যা মাশুল দিতে হয়েছিল রণিতকে, তা শুনলে চমকে যাবেন অনুরাগীরা।

Advertisement

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অতীতচারণ করলেন অভিনেতা। জানালেন, দুটি ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে টানা এক সপ্তাহ দিনে ২৪ ঘণ্টা কাজ করেছেন, এমনও হয়েছে। বাড়ি ফেরার সময় ছিল না। রণিতের কথায়, “মাত্র ৩ মাসের জন্য একটা চরিত্র দেওয়া হল আমায় ‘কসৌটি জিন্দেগি কে’-তে। লোকে আমায় ভালবেসে ফেললেও অনুরাগ আর প্রেরণার চোখে বিষ হয়ে উঠলাম। নিজেকে ভিলেন মনে হত। আসলে আমি চুল কাঁচা-পাকা রাখতে রাজি হয়েছিলাম বলেই চরিত্রটা পাই। বাকি কোনও অভিনেতা রাজি হননি সে সময়ে। একতা কপূরের নির্দেশে অল্প বয়সেই এক জন বয়স্ক মানুষের চরিত্রে অভিনয় করি। তিনি চেয়েছিলেন রিচার্ড গেয়ারের কাছাকাছি এক জন ব্যক্তিত্ব, দেখতে নবীন অথচ বয়সে পরিণত।”

অন্য দিকে ‘কিউ কি সাস ভি কভি বহু থি’-র কাজ শুরু হল। ধারাবাহিকের নির্মাতারা জানালেন, দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা অবধি স্টুডিয়োতে থাকতেই হত রণিতকে। তার পর চলে যেতেন ‘কসৌটি জিন্দেগি কে’–র সেটে।

Advertisement

পাঁচ-ছয় বছর চেষ্টা করে ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকেছেন তখন। কাজের দরকার। টাকার দরকার। তাই রণিত পরিশ্রম নিয়ে ভাবেননি। তাঁর কথায়, “এক সপ্তাহ টানা শ্যুটিং করে আমার মনে হল আর পারছি না। বুঝলাম ২৪ ঘণ্টা কাজ করছি তো, ১২ ঘণ্টার জায়গায়! আসলে কাজের খিদে ছিল ভিতরে। সাফল্যের স্বাদ পেতে চাইছিলাম। ‘কসৌটি’-র পরিচালক কায়েদ কুওয়ারজলা খুব সাহায্য করেছিলেন সে সময়ে। একটা হিসাব কষে নিয়েছিলেন মনে মনে।

আমার একটা টেক নিয়ে বলতেন, ‘‘যাও, গিয়ে ঘুমিয়ে নাও ঘণ্টাখানেক। ডেকে নেব।’’ এ ভাবে দিনে ৩-৪ ঘণ্টা সময় ঘুমের জন্য বেরোতে লাগল। খাবার বিরতি পেলে তার মধ্যে ৫ মিনিটে খাওয়া শেষ করে বাকি ৪৫ মিনিট ঘুমিয়েছি এমনও হয়েছে।”

আর এখন? সেই বিভীষিকার অধ্যায় শেষ হয়েছে অভিনেতার জীবনে। শুধু টেলিভিশন নয়, বলিউডে বড় পর্দায়ও মানুষ তাঁকে দেখতে চান। ‘উড়ান’ এবং ‘টু স্টেটস’-এর মতো বেশ কয়েকটি ছবি করেছেন রণিত ইতিমধ্যেই। আরও কাজের প্রস্তাব তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement