আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকছেন রোহন ভট্টাচার্যও?
রবিবার অভিনেত্রী পল্লবী দে-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। সোমবার সন্ধেয় রোহন ভট্টাচার্যের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জ্বলজ্বল করছে কবি শামসুর রহমানের উদ্ধৃতি। ভাগ করে নেওয়া পংক্তি অনুযায়ী, ‘আমি যাচ্ছি চলে। হয়তো কোনও দিন আর আসব না। তবে যেটুকু নিয়ে গেলাম তার প্রতিদান আমি দিতে পারব না।’ স্টোরি দেখেই নড়ে বসেছে টলিউড। চমকে গিয়েছেন অভিনেতার অনুরাগীরাও। সদ্য প্রেম ভেঙেছে রোহন ভট্টাচার্য-সৃজলা গুহর। তবে কি রোহনও....?
আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করতেই পর্দার ‘দিপু মাস্টার’-এর দাবি, ‘‘আত্মহত্যার প্রশ্নই নেই! পুরনো সম্পর্কের আর কোনও পিছুটান নেই। প্রবল ভাবে কাজে ফিরছি। সোমবার সারা দিন সে সব নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের নতুন কমেডি সিরিজের নায়ক আমি।’’ তার পরেই জানিয়েছেন, হাজার ঝড়ঝাপ্টাতেও আত্মহননের কথা কোনও দিন ভাবেননি। বাবা নেই। নিজের পরিবারের পাশাপাশি বন্ধু, একাধিক আত্মীয়ের পরিবার অভিনেতার মুখাপেক্ষী। পাড়ায় কম করে ৭০টি পথপশুর দেখভাল করেন তিনি। ওই স্টোরিটি তিনি পল্লবীর উদ্দেশ্যে পোস্ট করেছেন বলে জানান রোহন।
পল্লবীকে চিনতেন অভিনেতা? একসঙ্গে কাজ করেছেন? রোহনের কথায়, কাকতালীয় ভাবে গত সপ্তাহেই পল্লবীর সঙ্গে তাঁর আলাপ। এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এনটি১ স্টুডিয়োয় ‘মন মানে না’-র সেটে গিয়েছিলেন। অভিনেতা বন্ধুটির মাধ্যমেই প্রথম সাক্ষাৎ। রোহনের কথায়, ‘‘খুব হাসিখুশি মেয়ে। এক আলাপেই আপন করে নিয়েছিল। যত ক্ষণ ছিলাম, দেখেছিলাম সবার সঙ্গে খুনসুটি করছে। চোখেমুখে মৃত্যু বা অবসাদের কোনও ছায়াই নেই। সেই মেয়ে এক সপ্তাহ পরেই কী করে ‘নেই’ হয়ে যায়? বুঝতে পারছি না।’’