ঋতুপর্ণা-শাশ্বত-পরমব্রত
পরিচালক বরাবরই একটু অন্য ধরনের ছবি করেন। তাঁর নতুন ছবি ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ সোশিয়ো-পলিটিক্যাল ড্রামা হলেও, ঠিক গড়পরতা বিষয় বলা যাবে না। ছবির কাহিনি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রঞ্জন ঘোষ বলছিলেন, ‘‘এক কথায় ইটস আ লেটার অফ অ্যাপলজি টু দ্য উওম্যান। আমি এবং ছবির গোটা ইউনিট ক্ষমাপ্রার্থনা করছি নারীজাতির কাছে, তাদের উপরে হয়ে চলা অন্যায়ের কারণে। আর এই অন্যায়টা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে করে। আমরা মাটির প্রতিমা তৈরি করে তাকে পুজো করি। এ দিকে রক্তমাংসের নারীকে অপমান করি।’’ একটি রাতের ঘটনা নিয়ে ছবির কাহিনি আবর্তিত হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এসেছে রাজনীতি, সম্পর্কের কিছু জটিল দিক।
‘মহিষাসুরমর্দিনী’র প্রধান চরিত্রে রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। বিরতি কাটিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে পরপর ছবি করছেন ঋতুপর্ণা। এই ছবির মলাট চরিত্র তাঁকে আকর্ষণ করেছিল। বলছিলেন, ‘‘নারী ক্ষমতায়নের একটা দৃষ্টান্ত তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে ছবিতে।’’ শাশ্বত জানালেন, তিনি ছবিতে রাজনৈতিক নেতার চরিত্রে, যার সঙ্গে ঋতুপর্ণার চরিত্রটির আগে একটা সম্পর্ক ছিল। মুম্বইয়ে ওয়েব সিরিজ়ের কাজ নিয়ে ব্যস্ত পরমব্রত। সেখান থেকে সরাসরি চুঁচুড়ায় শুটিং লোকেশন পৌঁছন শুক্রবার। ‘‘রঞ্জন বেশ অন্য ধরনের কাজ করে। এই ছবিতে বর্তমান সময়কে একটা রূপকের মাধ্যমে তুলে ধরছে। খুব জরুরি কিছু কথা উঠে আসবে ছবিতে,’’ মত পরমব্রতের। জানালেন, ঋতুপর্ণা-শাশ্বত ও তিনি আগে একসঙ্গে অভিনয় না করলেও, পরমব্রত পরিচালিত প্রথম ছবিতে তাঁরা ছিলেন।
ছবির কাস্টিং বেশ বড়। সিনেমা-থিয়েটারের অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য, কৌশিক কর, পৌলমী দাস, অভ্যুদয় দে, আরিয়ুন ঘোষ, পূর্বাশা মাল, শ্রীতমা দে, শুভ্রশঙ্খ দাস, অরুণিমা হালদার।