Ritabhari Chakrabarty

Ritabhari Birthday: বয়স যতই বাড়ুক না কেন,মনে মনে আমি খুকি হয়েই রয়ে গেলাম: ঋতাভরী

২৬ জুন তাঁর জন্মদিন। বিশেষ দিনটাকে কী ভাবে সাজিয়েছেন অভিনেত্রী? আনন্দবাজার অনলাইনের জন্য কলম ধরলেন নিজেই।

Advertisement

ঋতাভরী চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২২ ১৯:৩৪
Share:

জন্মদিনে ঋতাভরী

সেই ছোটবেলা থেকেই জন্মদিন মানে বাড়িতে একরাশ আনন্দ। মা-বাবার যখন বিচ্ছেদ হয়, তখন আমার মাত্র চার বছর বয়স। তার পরে অনেক কষ্ট করে হলেও আমার আর দিদির জন্মদিন ঠিক উদ্‌যাপন করত মা। নিজের যেটুকু সামর্থ্য তা দিয়েই সাজিয়ে তুলত আমাদের বিশেষ দিনটাকে। কাপড় কিনে এনে নিজের হাতে জামা তৈরি করে দিত। মায়ের জন্যই আমি আজও জন্মদিন উদ্‌যাপন করতে ভালবাসি।

Advertisement

ছোটবেলায় জন্মদিনে স্কুল বা পাড়ার যে সব বন্ধু আসত, তাদের জন্যও ছোট ছোট উপহার তৈরি করে রাখত মা। এখনও কিন্তু সেই একই রকম রয়েছে সবটা। আমার স্কুলের কচিকাঁচারা আছে। মায়ের কিছু বাচ্চারা আছে। ওরা নিজে হাতে উপহার তৈরি করে আমাকে দেয়। জন্মদিন মানেই এখনও বন্ধুরা, মামা-মাসিরা সবাই চলে আসে। হায়দরাবাদে থাকে আমার প্রিয় বন্ধু। ও এসে গিয়েছে। বিদেশ থেকে আত্মীয়রা। এক কথায় গোটা বাড়ি জমজমাট। তার মধ্যে তিতিন, মানে আমার দিদি চিত্রাঙ্গদাও আছে কলকাতায়। বলা যেতে পারে ছোটখাটো বিয়েবাড়ি!

এ বারের জন্মদিনের থিম ‘নাইনটিজ কিড’। নব্বইয়ের সব গান দিয়ে শুরু হবে পার্টি। শেষ হবে ‘সাত সমন্দর’ দিয়ে। এটা অবশ্য আমার প্রতি বারের গান। থিম যাই হোক না কেন, এই গান দিয়েই সব শেষ হয় প্রত্যেকটা জন্মদিনে!

Advertisement

সবার জন্য ছোট্ট ছোট্ট উপহারও আগেভাগে মজুত করে রেখেছি। আমার প্রিয় মিনিয়েচর তো আছেই। আর বিভিন্ন কুশন। জন্মদিনে আমি কী উপহার পাব, জানি না কিন্তু! শুনেছি তথাগত কিছু একটা তৈরি করছে আমার জন্য। সেটা যে কী, তা-ও জানি না। তবে হ্যাঁ, খাবারে থাকছে মটন। প্রতি বছর জন্মদিনটা কাছের মানুষদের সঙ্গে এ ভাবেই কাটাতে চাই। উপহার পেতে চাই। বয়স যতই বাড়ুক, বুড়ি হওয়ার দিকে যতই এগোই, মনে আমি সেই খুকিই রয়ে গেলাম। আমার বোধহয় আর বড় হওয়া হল না!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement