লাইট সাউন্ড ক্যামেরার দিনগুলি পেরিয়ে জীবনের দ্বিতীয় পর্বে সোশ্যাল মিডিয়াতেও খুব জনপ্রিয় ছিলেন ঋষি কপূর। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মাধ্যমে বেশ সক্রিয় ছিলেন প্রবীণ অভিনেতা।
এক বার তিনি টুইটে নিজের শেষকৃত্যের প্রসঙ্গ এনেছিলেন। লিখেছিলেন, তিনি মনে করেন তাঁর শেষযাত্রায় ইন্ডাস্ট্রির কেউ থাকবেন না।
২০১৭ সালে এই টুইট করেছিলেন ঋষি। সে বছরই প্রয়াত হন বিনোদ খন্না। তাঁর শেষযাত্রার অবস্থা দেখে ব্যথিত হয়েছিলেন ঋষি।
‘ববি’-র নায়ক বলেছিলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে যাঁরা নিজেদের তারকা বলে মনে করেন, তাঁদের সময় অবধি নেই এক জন প্রবীণ অভিনেতার শেষকৃত্যে সামিল হওয়ার।
টুইটবার্তায় নতুন প্রজন্মের তারকাদের এক হাত নিয়েছিলেন ঋষি। বলেছিলেন, আগের দিনই প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার পার্টিতে অনেকেই হুল্লোড় করছিলেন। অথচ পর দিন প্রবীণ অভিনেতাকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য কেউ থাকতে পারলেন না!
তাঁদের ‘নামের কাঙাল’ এবং ‘স্তাবক’ বলতেও ছাড়নেনি স্পষ্টবক্তা বলে পরিচিত ঋষি।
সেই টুইটেই তিনি বলেন, তাঁর ধারণা, বিনোদ খন্নার শেষযাত্রার মতো একই পরিস্থিতি হবে তাঁর প্রয়াণেও।
বাস্তবে সত্যি-ই হল ঋষির আশঙ্কা। তাঁর শেষযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২০-২৫ জন।
করোনা-পরিস্থিতি এবং লকডাউনের জেরে ঋষি কপূরের মতো তারকার শেষ যাত্রাও থাকল জনবিরল।
প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই তারকার শেষযাত্রাকে ভিড়মুক্ত রাখা হয়েছিল।
বলিউডে খুব কম জনই আছেন, যাঁরা ইন্ডাস্ট্রির সার্বিক কল্যাণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেন। ঋষি কপূর ছিলেন তাঁদের মধ্যে এক জন। বিনোদ খন্নার মতো তারকার জনবিরল শেষযাত্রার দৃশ্য ব্যথিত করেছিল তাঁকে। তিনি নিজের রাগ চেপে রাখতে পারেননি।
জীবনের এমনই অদ্ভুত সমাপতন, রাগের মাথায় করা ঋষির সেই টুইট-বার্তা বাস্তবে সত্যি বলে প্রমাণিত হল।