ঋষি কপূর ও রাজীব কপূর
গত বছর এপ্রিল মাসে প্রয়াত হন অভিনেতা ঋষি কপূর। এক বছর না পেরতেই মঙ্গলবার কপূর পরিবারকে শূন্য করে দিয়ে চলে গেলেন ঋষি ও রণধীরের ছোট ভাই রাজীব কপূর। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের এক বোন রীতু নন্দার মৃত্যু হয় গত বছরই। অভিনেতা-পরিচালক রাজ কপূরের পাঁচ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ পুত্র রণধীর কপূর ও কনিষ্ঠ কন্যা রিমা জৈন বেঁচে রয়েছেন কেবল।
আত্মজীবনী লিখেছিলেন অভিনেতা ঋষি কপূর। রাজীবের মৃত্যুর পরে সেই বইয়ের কিছু অংশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে আজ। ঋষি তাঁর বইতে ছোট ভাই সম্পর্কে নিজের মনোভাব লিখেছিলেন। তাঁরা দু’জন ছোট থেকে খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন না। বড় হওয়ার পর তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়তে থাকে।
ঋষি কপূরের লেখা থেকে জানা যায়, রাজীবকে নিয়ে অনেক আফসোস ছিল তাঁর। ভাইয়ের মধ্যে অনেক প্রতিভা লক্ষ্য করেছিলেন তিনি। কিন্তু ঋষির মতে, 'সে যদি নিজে বুঝত যে তাঁর অঢেল প্রতিভা, তা হলে আজ সে এই ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম চলচ্চিত্র সম্পাদক ও সঙ্গীতশিল্পী হয়ে উঠতে পারত।'
ঋষি কপূরের লেখা পড়ে যায় জানা যায়, রাজীব দুর্দান্ত পিয়ানো বাজাতেন। কিন্তু কোনও দিন কারও কাছ থেকে শেখেননি তিনি। সঙ্গীতের বিষয়ে তুখোড় কান ছিল তাঁর। এ ছাড়াও ঋষি কপূরের ছবি 'আ অব লৌট চলে'-র সম্পাদনা করেছিলেন রাজীব। সেটা দেখার পর ঋষির ধারণা হয়েছিল, রত ভাল সম্পাদনা করার ক্ষমতা ইন্ডাস্ট্রির আর কারও নেই।
রাজীব কপূর অভিনয় করেছেন 'রাম তেরি গঙ্গা মৈলি'-র মতো ব্লকবাস্টার ছবিতে। এ ছাড়া 'এক জান হ্যাঁয় হম', 'জিম্মেদার', 'আসমান', 'জবরদস্ত' প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরে নিজেকে ক্যামেরার পিছনে নিয়ে চলে যান। প্রযোজনা, পরিচালনা, সম্পাদনায় মন দেন। কিন্তু কোনও কিছুতেই নিষ্ঠা ছিল না তাঁর। আর সেই নিয়েই আফসোস ছিল তাঁর দাদা ঋষির। যাঁর মতে, 'চিম্পু (রাজীবের ডাকনাম) আমাদের কপূর পরিবারে সবার থেকে বেশি প্রতিভাবান ছিল।'