প্রদীপ সরকারের স্মৃতিতে ডুব দিলেন ঋদ্ধি সেন। —ফাইল চিত্র।
“সকালবেলা খবরটা পেয়ে কিছু বলার অবস্থায় নেই আমি”, পরিচালক প্রদীপ সরকারের প্রয়াণে বাক্রুদ্ধ ঋদ্ধি সেন। পরিচালকের সঙ্গে বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলেন। পরে তাঁর পরিচালিত ‘হেলিকপ্টার ইলা’ ছবিতেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন ঋদ্ধি। তাঁর সঙ্গে বহু বছরের সম্পর্ক। শুক্রবার সকালে এই খবরে রীতিমতো মনখারাপ ঋদ্ধির। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি জানালেন, পরিচালকের আন্তরিকতা তিনি কখনও ভুলবেন না।
ঋদ্ধি বলেন, “আগের সপ্তাহেই দাদার সঙ্গে ফোনে আমার কথা হল। প্রদীপ সরকারের চলে যাওয়া অবশ্যই চলচ্চিত্র জগৎ এবং বিজ্ঞাপন জগতের জন্য একটা বিশাল ক্ষতি। কিন্তু তা ছাড়াও আমার মনে হয়, ওঁর মতো মানুষ এ পৃথিবীতে বিরল। বর্তমানে কাজের মধ্যে একটা কড়া পেশাদারিত্ব চলে এসেছে। সেটেও কেউ কারও সঙ্গে খুব বেশি কথা বলে না। কিন্তু প্রদীপদার কাজ করার ভঙ্গিমা, তাঁর পেশাদারিত্ব সবটাই ছিল অন্য রকম। উনি চলে যাওয়ার সঙ্গে আমার মনে হয় আন্তরিকতাও হারিয়ে ফেললাম। যা বর্তমানে খুবই দুর্লভ।”
ঋদ্ধি আরও যোগ করেন, “সবচেয়ে মজার ব্যাপার উনি সব সময় বাংলায় কথা বলতেন। যাঁরা সেটে হিন্দিতে কথা বলেন, তাঁদের সঙ্গেও তিনি বাংলাতেই কথা বলতেন। ওঁর সঙ্গে যাঁরা সেটে কাজ করতেন, সেই কাজ শেষের পর সে বাংলাও শিখে যেত। আমি দাদার সঙ্গে যখন কথা বলি তখন এক বারও মনে হয়নি, যে দাদা আমার বয়সি নয়। প্রদীপদার সেন্স অফ হিউমর দারুণ ছিল।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে পরিচালক হনসল মেহতা এই খবর ভাগ করে নেন টুইটারে। অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রদীপ। শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটের সময় মৃত্যু হয় পরিচালকের। আত্মীয় জানান, অনেক দিন ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন পরিচালক। ডায়ালিসিস করা হয়েছিল তাঁর। তার পরও রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বিপুল হারে কমছিল। সেই অবস্থাতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তবে শেষরক্ষা হল না। শুক্রবার বিকেল ৪টেয় সান্তাক্রুজে দাহ করা হবে পরিচালকের দেহ।