Richa Chadha in Heeramandi

হীরামন্ডি-তে অভিনয় করতে গিয়ে তাঁকে মদ্যপান করতে হয়! কিন্তু কেন? জানালেন রিচা চড্ডা

প্রায় ৩০ থেকে ৪০টা টেক দিয়েছেন একটি দৃশ্যের! খুশি হচ্ছিলেন না পরিচালক। তার পর কী করতে হয়েছিল রিচা চড্ডাকে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৪ ১৫:১৪
Share:

‘হীরামন্ডি’ ওয়েব সিরিজ়ে রিচা চড্ডা। ছবি: সংগৃহীত।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর প্রথম ওয়েব সিরিজ় ‘হীরামন্ডি’। এই সিরিজে বারবণিতা লাজ্জোর চরিত্রে দেখা গিয়েছে রিচা চড্ডাকে। তিনি ছাড়াও আরও পাঁচ অভিনেত্রী রয়েছেন এই সিরিজ়ে। দক্ষ অভিনেত্রী হিসাবে নামডাক রয়েছে রিচার। তবে কখনই নাচ-গানের ছবিতে দেখা যায়নি তাঁকে। যদিও এই ছবিতে রীতিমতো নাচ করতে হয়েছে রিচাকে। ‘সকাল বানা’ থেকে ‘মাসুম দিল হ্যায় মেরা’ দুটো গানেই ভারী পোশাকে নেচেছেন তিনি। তবে তার জন্য কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি রিচাকে। ৩০ থেকে ৪০ বার টেক দিয়েছেন। এমনকি মদ্যপানও করেছেন দরকারে।

Advertisement

'হীরামন্ডি' সিরিজ়ে নিজের চরিত্রের কথা বলতে গিয়ে রিচা আগেই জানিয়েছিলেন, এই চরিত্রটি বিয়োগান্তক! বড় পর্দায় নিজের কাজ দেখে চোখে জলও এসেছে তাঁর। যদিও চরিত্রটির পর্দায় উপস্থিতি অনেকটা সময় জুড়ে নয়। কিন্তু তাতে খাটুনি কম হয়েছে, এমনটা নয়।

এমনিতেই সঞ্জয় লীলা ভন্সালী তাঁর কাজ নিয়ে বড্ড খুঁতখুঁতে। যত ক্ষণ না তাঁর মনঃপুত শট পাচ্ছেন, হাল ছাড়েন না পরিচালক। ‘মাসুম দিল হ্যায় মেরা’ গানটিতে রিচাকে দেখা যায় প্রেমিকের বিয়েতে মদ্যপ অবস্থায় নাচছেন তিনি। সেই নাচতে গিয়ে বার বার কিছু না কিছু গন্ডগোল হচ্ছিল, যার ফলে খুশি হতে পারছিলেন না পরিচালক। প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি ‘টেক’ দিয়েছেন, তবু সঞ্জয়ের না-পসন্দ ছিল! শেষমেশ রিচা ভাবলেন তবে অল্প মদ্যপান করেই শট দেবেন। তবে সেটা নাকি আরও গোলমেলে।

Advertisement

অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘ অনেক ক্ষণ ধরে মদ্যপ হওয়ার অভিনয় করছিলাম ওই দৃশ্যে। ৪০টা শট নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরও কিছু একটা খামতি থেকেই যাচ্ছিল। শেষে আমি ভাবলাম অল্প জিন খেয়ে দেখি। কিন্তু তাতে যেন আরও খারাপ হল। এত ভারী পোশাক, তার মধ্যে শরীরের তালও কাটছিল। এর থেকে মদ না খেয়ে মদ্যপের অভিনয় করা ভাল।’’

রিচার জানান, এই সিরিজ়ের প্রতিটি দৃশ্যের জন্য নিজের ১০০ শতাংশ দিয়েছেন তিনি। শুধু পর্দায় নিজেকে জীবন্ত দেখাতে কোনও উপায় বাদ দেননি অভিনেত্রী। রিচার অভিনয় দেখে প্রশংসা করেছেন খোদ রেখাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement