সুশান্ত এবং রিয়া।
সুশান্তের ডায়েরির কিছু পৃষ্ঠা নাকি ছেড়া। এমনটাই দাবি তাঁর পরিবারের। কে ছিঁড়ল পাতা? কেনই বা ছেঁড়া হল? এ সব বিতর্কের মাঝেই সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তাঁর ডায়েরির একটি পাতা প্রকাশ্যে এনেছেন রিয়া। তাতে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে বেশ কয়েকটি লাইন। রিয়ার দাবি, হাতের লেখাটি সুশান্ত সিংহ রাজপুতেরই।
রুল টানা ওই পাতায় প্রথমেই বড় বড় করে লেখা রয়েছে ‘গ্র্যাটিটউড লিস্ট’। তাতে এক দুই তিন করে মোট ছ’টি পয়েন্ট। প্রথম লাইনে লেখা, “আমি আমার জীবনের জন্য কৃতজ্ঞ। আমার জীবনে বেবু আসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। স্যরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। লিল্লু এসেছে আমার জীবনে, সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ম্যামের জন্যও আমি কৃতজ্ঞ। ফাজ (সুশান্তের পোষ্য) আমার জীবনে রয়েছে, আমি কৃতজ্ঞ। এক জীবনে এত ভালবাসা পেয়ে জীবনের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ।” রিয়ার দাবি, ওই পৃষ্ঠায় বেবু, লিল্লু বলে যাঁদের নাম নেওয়া হয়েছে তাঁরা আদপে তিনি (বেবু) এবং তাঁর ভাই সৌভিক (লিল্লু)। স্যর এবং ম্যাম বলতে রিয়ার বাবা-মা’কেই বুঝিয়েছেন রিয়া। এমনটাই দাবি তাঁর। সুশান্তের ব্যক্তিগত জিনিস বলতে শুধুমাত্র 'ছিছোড়ে'লেখা এক সিপার(জলের বোতল) রয়েছে তাঁর কাছে, সংবাদমাধ্যমটিকে এমনই জানিয়েছেন রিয়া।
A post shared by Filmykiida (@filmykiida) on
যদিও সুশান্তের ডায়েরির ছেঁড়া পৃষ্ঠা সম্পর্কে এর আগে সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, কোনও লেখা পছন্দ না হলে ডায়েরির পাতা ছিড়ে ফেলতেন সুশান্ত।
অন্য দিকে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার টানা ৯ ঘণ্টা ইডি-র অফিসে রিয়াকে জেরা করার পর আজ ডাকা হয়েছে তাঁর ভাই সৌভিককে। সিবিআই এবং সুশান্তের বাবার করা এফআইআরে নাম রয়েছে সৌভিকের। পাশাপাশি, শনিবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। খুব দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন সুশান্ত, আশ্বাস দিয়েছেন খট্টর।