প্রথম দিনে এ ভাবেই 'মবড' হয়েছিলেন রিয়া।
দ্বিতীয় দিনে প্রায় আট ঘণ্টা জেরার পর অবশেষে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র দফতর থেকে বের হলেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। আগামিকাল ফের তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে এনসিবি।
সোমবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ কড়া পুলিশি প্রহরায় এনসিবি’র দফতরে পৌঁছন রিয়া। বের হন সন্ধে ছ'টা নাগাদ।রবিবার এনসিবি দফতরে প্রবেশের সময়ে ‘মবড’ হয়েছিলেন রিয়া। তাই আজ পুলিশ ছিল আরও তৎপর। ব্যারিকেড করে মূল প্রবেশদ্বারের বেশ কিছুটা আগে আটকান হয়েছিল মিডিয়ার প্রবেশ।
সূত্রের খবর, আজ এনসিবি-র সামনে বলিউডের বেশ কিছু প্রথম সারির অভিনেতার নাম প্রকাশ্যে এনেছেন রিয়া। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ তিনি এনেছেন তা জানা যায়নি। রিয়ার বয়ান অনুযায়ী, সুশান্তের কর্মচারী দীপেশের মাধ্যমে তিনি অভিনেতার জন্য মাদক আনিয়েছেন ঠিকই কিন্তু তিনি জীবনে কোনওদিন গাঁজা-চরস বা কোনও ধরনের মাদক নেননি। তবে ধূমপান করেছেন তিনি। রিয়ার আরও জানিয়েছেন 'কেদারনাথ' শুটের সময়েই নাকি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন সুশান্ত। জেরায় তিনি বলেছেন, ওই ছবিতেই সুশান্তের সহ অভিনেতারাও মাদক নিতেন।
এনসিবি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আজ মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় রিয়া এবং তাঁর ভাইকে। জেরা চলাকালীন বেশ কয়েক বার আবেগঘন মুহূর্তও তৈরি হয় ভাই-বোনের মধ্যে। এ দিকে মাদক যোগে আজ আর এক মাদক পাচারকারী অনুজ কেশওয়ানিকে গ্রেফতার করে এনসিবি। এই ঘটনায় আর এক অভিযুক্ত কাইজানের বয়ানের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
অন্যদিকে সিবিআই-ও তাঁদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এমসের তরফে জানা যাচ্ছে, সুশান্ত কাণ্ডে আবারও ভিসেরা পরীক্ষা করছেন তাঁরা। দশ দিন পরে রিপোর্ট আসবে। আর তাতেই বোঝা যাবে বিষক্রিয়ার ফলে সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে কিনা।
এর আগে শোনা যাচ্ছিল, মাদক যোগে আজই গ্রেফতার হতে পারেন রিয়া। খবর আসছিল তদন্তে অসহযোগিতা করছেন অভিনেত্রী। যদিও এনসিবি-র ডেপুটি ডিজি অশোক জৈন আজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রিয়া এখনও পর্যন্ত তদন্তে সহযোগিতাই করছেন।