রিয়া।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে গত ৮ জুন বেরিয়ে আসেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। তাঁর বেরিয়ে আসার কারণ সম্পর্কে মুখ খুলেছেন মুম্বই পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংহ।
তিনি বলেন, “সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর আমরা মোট দু’বার রিয়ার বয়ান রেকর্ড করি। কী ভাবে এবং কোথায় সুশান্তের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর, তা আমাদের সবিস্তার জানান রিয়া। সুশান্তের যাবতীয় প্রেসক্রিপশনও শেয়ার করেন তিনি।" পরমবীর আরও জানান, রিয়ার বয়ান অনুযায়ী, তাঁরও মানসিক অবস্থা ভাল ছিল না। দু’জনের সম্পর্কে চলছিল নানা টানাপড়েন।
এফআইআর জারি হওয়ার পর থেকেই রিয়াকে খুঁজে পাচ্ছে না বলে দাবি করছে বিহার পুলিশ। বিহার পুলিশের ডিজি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে জানান, এ বার রিয়ার নামে লুকআউট নোটিস জারির কথা ভাবছেন তাঁরা। যদিও রিয়ার আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেল আত্মগোপন করেননি, তিনি নিরুদ্দেশও নন। মুম্বই পুলিশ তাঁকে চার বার থানায় ডেকে পাঠায়। প্রতি বারই হাজিরা দিয়েছেন রিয়া। সুশান্তের শেষকৃত্যে রিয়া চক্রবর্তীর অনুপস্থিতি নিয়েও মুখ খুলেছেন সতীশ। সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি আরও জানান, সুশান্তের শেষকৃত্যে করোনার জন্য উপস্থিতি কমিয়ে যে ২০ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল তাতে রিয়ার নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। সে জন্যই মুম্বই থাকলেও সুশান্তকে শেষ বার দেখতে পারেননি রিয়া।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর আগে ‘যন্ত্রণাহীন মৃত্যু’ গুগল করেছিলেন সুশান্ত: মুম্বই পুলিশ
অন্য দিকে, গতকাল বিহার পুলিশের সদর দফতর থেকে পটনা সিটি পুলিশের সুপার বিনয় তিওয়ারিকে মুম্বইয়ে পাঠানো হলে এই আইপিএস অফিসারকে কোয়রান্টিনে পাঠিয়েছেন মুম্বই পুর কর্তৃপক্ষ। আজ সেই ঘটনায় বিহার পুলিশের ডিজি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “সুশান্ত মারা যাওয়ার পর এই ৫০ দিনে মহারাষ্ট্র পুলিশ কী করেছে? আমাদেরও তদন্তে সহযোগিতা করছে না। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কিছু গণ্ডগোল রয়েছে।’’ শোনা যাচ্ছে, এফআইআরে রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ থাকায় রিয়া এবং তাঁর ভাইকে তলব করতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গত শুক্রবারই ওই অভিযোগের ভিত্তিতে রিয়ার বিরুদ্ধে একটি ‘এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট’ (ইসিআইআর) ফাইল করে ইডি। এ দিকে মঙ্গলবার সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে বিহার সরকার।
আরও পড়ুন: রিয়া আত্মগোপন করেননি, মুখ খুললেন তাঁর কৌঁসুলি
রিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ মুম্বই পুলিশ মানতে না চাইলেও বিহার পুলিশের ডিজির প্রশ্ন, “গত চার বছরে সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫০ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। অবাক কাণ্ড, তার পুরোটাই উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত এক বছরে সেখানে জমা পড়েছিল ১৭ কোটি টাকা। যার থেকে ১৫ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। খটকা লাগার জন্য এই পয়েন্টটিই কি যথেষ্ট নয়?”