usha ganguly

প্রয়াত নাট্যকর্মী ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়, সাংস্কৃতিক মহলে শোকের ছায়া

সকালে গৃহপরিচারিকা এসে দেখেন বাড়ির দরজা খোলা। ঊষা গঙ্গোপাধ্যায় মাটিতে সম্পূর্ণ অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২০ ১১:৪১
Share:

ঊষা গঙ্গোপাধ্যায় (১৯৪৫-২০২০)।

প্রয়াত নাট্যকার ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার সাউথ সিটির উল্টো দিকে নিজের বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। বৃহস্পতি বার সকালে গৃহপরিচারিকা এসে দেখেন বাড়ির দরজা খোলা। ঊষা গঙ্গোপাধ্যায় মাটিতে সম্পূর্ণ অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তিনি হতচকিত হয়ে পাড়ার লোকজন ডাকেন। চিকিৎসককেও ডাকা হয়। মাত্র কয়েক দিন আগে তাঁর ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হয়। শোকগ্রস্ত অবস্থায় শেষ ক’দিন খুবই মনমরা হয়ে ছিলেন ঊষা।

Advertisement

ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে নাট্য ও সংস্কৃতি জগতে শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি ১৯৪৫ সালে রাজস্থানের যোধপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মাতৃভাষা হিন্দি হলেও বাংলা থিয়েটারে তিনি রেখেছেন অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর। পরিচালক-অভিনেত্রী এবং সক্রিয় সমাজকর্মী হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। সত্তর ও আশির দশকে কলকাতা শহরে হিন্দি থিয়েটারের রূপায়ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ঊষাদেবী। ১৯৭৬-এ রঙ্গকর্মী গ্রুপ থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন, সেই দলের প্রযোজনায় 'মহাভোজ’, ‘রুদালি’, ‘কোর্ট মার্শাল’ এবং ‘অন্তর্যাত্রা’-র মতো নাটকগুলো পরিবেশিত হয়।

১৯৯৮-এ ‘সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি’ থেকে ঊষা গঙ্গোপাধ্যায় পুরস্কার পেয়েছিলেন। এ ছাড়া ‘গুড়িয়া ঘর’ নাটকে অভিনয়ের জন্যে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক শ্রেষ্ঠ অভিনেতার সম্মানও অর্জন করেছিলেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: খাবারের জন্য মানুষ ছুটছে, এর পরেও খাওয়া নিয়ে বড়াই: অরিন্দম শীল

করোনা-যুদ্ধে প্রান্তিক মানুষ কী ভাবে বেঁচে থাকবে? প্রশ্ন তরুণ মজুমদারের

উপমহাদেশের এই প্রখ্যাত নাট্যনির্দেশক ও অভিনয়শিল্পীর নাটকই ছিল জীবন। বলতেন, “আমার কোনও লাইফ নেই থিয়েটার ছাড়া। দুশোরও বেশি সদস্যের দল তৈরি করেছি। নব্বই জন নারী আছেন দলে, যাঁরা আমাদের দলের অভিনেত্রী। আমাদের একটা স্টুডিও থিয়েটারও আছে। বিনোদিনী কেয়া চক্রবর্তীকে এক সময় অবজ্ঞা করা হয়েছিল, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই স্টুডিয়ো। স্টুডিও থিয়েটারের নাম বিনোদিনী মঞ্চ, যেখানে পরিকল্পনা, চিন্তা ও কাজ একযোগে হচ্ছে। একটা অল্টারনেটিভ হাব গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। যাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন, প্রয়োগধর্মী কাজ করছেন, তাঁদের একটা স্পেস তৈরি করার চেষ্টায় মগ্ন হয়ে আছি”।

কাজের মধ্যে দিয়ে সকলের অলক্ষ্যে আজ চলে গেলেন বিশ্ব নাটকের ‘রুদালি’। তাঁর ‘অন্তর্যাত্রা’ যেন পূর্ণ হল!

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement