ইমন।
আমপানের মতো পরিস্থিতি না হলেও ইয়াসের দাপটে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষত পূর্ব মেদিনীপুর। কোভিড পরিস্থিতিতে টলিউডের তারকারা যেমন হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন, ত্রাণের কাজেও অনেকেই হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সেই তালিকায় মিমি চক্রবর্তী, রাজ চক্রবর্তীর মতো সাংসদ-বিধায়করা তো রয়েছেনই, ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্যরাও এগিয়ে এসেছেন।
গায়িকা ইমন চক্রবর্তী যেমন তাঁর সঙ্গীত অ্যাকাডেমির সদস্যদের নিয়ে তমলুক পাড়ি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ফোনে বললেন, “প্রয়োজনীয় খাবার, সামগ্রী নিয়ে আমরা যাচ্ছি। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমার সব ভক্ত-বন্ধুদের কাছে সাহায্যের আবেদন করছি।” এলাকায় পৌঁছে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরেন ইমন। পরিচালক বিদুলা ভট্টাচার্য গত বছরও আমপানের সময়ে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন। শনি-রবিবার নাগাদ তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাওয়ার কথা জানালেন। “কোন জায়গায় যাব, কী ভাবে যাব সেই সব নিয়েই আলোচনা চলছে। চেষ্টা করছি স্থানীয় মানুষদের সাহায্য নিয়ে একটা সেন্টার মতো করার,’’ বক্তব্য বিদুলার। গত বছর ত্রাণকার্যে প্রত্যক্ষ ভাবে অনেক মানুষ সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু এখন অনেকের বাড়িতেই করোনা রোগী। তাই সরাসরি এলাকায় গিয়ে কাজ করতে পারছেন না ইচ্ছুকেরা। বিদুলার কথায়, “এখন আমাদের উভয়সঙ্কট। করোনার জন্য অনেকে আর্থিক সাহায্য করছেন। লোকবল কম।” অন্য দিকে বেশি লোকজন ত্রাণকার্যে হাজির হলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। ছোট পর্দার পরিচিত মুখ সপ্তর্ষি রায় পূর্ব মেদিনীপুরের রসুলপুর গ্রামে তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে ত্রাণ পাঠিয়েছেন। সে খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন শ্রীলেখা মিত্র। অভিনেত্রী নিজেও এই কাজে সাহায্য করেছেন।
দিব্যজ্যোতি।
‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকের কিয়ান, অর্থাৎ দিব্যজ্যোতি দত্ত কোভিড আক্রান্তদের সাহায্যের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছেন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্যও। আগামী রবিবার তিনি ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে পৌঁছে যাবেন পাথরপ্রতিমা ও হিঙ্গলগঞ্জের কয়েকটি জায়গায়। সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য শুকনো খাবার, পানীয় জল, স্যানিটরি প্যাড নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ছোট পর্দার আর এক অভিনেত্রী মধুরিমা বসাকও পথের কুকুর-বিড়াল ও অন্য প্রাণীদের উদ্ধারকাজে সাহায্য করছেন।
যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী বারুইপুরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন। প্রশাসনিক মিটিংয়ের পাশাপাশি রিলিফ সেন্টারও পরিদর্শন করেছেন মিমি। ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর কাছে টুইটারের মাধ্যমে সাহায্য চাইছেন অনেকে। বিটি রোড, টিটাগড় এলাকার অনেক জায়গা জলমগ্ন, কোথাও বিদ্যুৎ বিভ্রাট, কারও বাড়ি ভেঙে পড়ছে। সব জায়গাতেই সাহায্যের ব্যবস্থা করেছেন রাজ। আশ্বাস দিয়েছেন, জলনিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য কর্মসূচি নিয়েছেন তিনি। বিধায়ক হিসেবে সোহমও সম্প্রতি চণ্ডীপুর এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করছে তাঁর টিম।