মুকেশ-মহেশ।
বলা হয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও সম্পর্কই চিরস্থায়ী নয়। অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে ভেঙে যায় বড় বড় প্রযোজনা সংস্থাও। এ বছরের গোড়ায় শোনা গিয়েছিল, মহেশ ভট্ট ও তাঁর ভাই মুকেশ ভট্টর মধ্যে বনিবনার অভাব হচ্ছে। এর পরেই মুকেশ একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন, তাঁদের সংস্থা বিশেষ ফিল্মসের সব দায়িত্ব এখন থেকে তাঁর দুই সন্তান সাক্ষী আর বিশেষের। মুকেশ এটাও স্পষ্ট করে দেন যে, সংস্থাটি শুরু থেকেই তাঁর ছিল এবং মহেশ সেখানে ক্রিয়েটিভ কনসালট্যান্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ‘‘আমাদের মধ্যে কোনও ঝগড়া হয়নি। কিন্তু মহেশ আর নিজের পদে থাকতে চাইছিল না।’’ ঠিক কী কারণে এই বিচ্ছেদ, ভট্ট পরিবারের কেউই তা খোলসা করেননি। ভট্ট ক্যাম্পের আর এক সদস্য বিক্রম ভট্টের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল এ প্রসঙ্গে। তিনি সাফ বলে দিয়েছেন, ‘‘এই সংক্রান্ত বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। কারণ আমার বস মহেশ ভট্ট আমাকে বারণ করে দিয়েছেন।’’ বিক্রমের কথাতেই স্পষ্ট, পরিবারের দ্বন্দ্ব তাঁরা প্রকাশ্যে আনতে চান না।
কিছু দিন আগে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন ইমরান হাশমি, যিনি ওই পরিবারেরই আত্মীয় এবং সংস্থা প্রযোজিত একাধিক ছবির তারকা। ইমরানের কথায়, ‘‘ঠিক কী কারণে এই ছাড়াছাড়ি আমি জানি না। তবে সব সম্পর্কেরই সমীকরণ বদলায়। বিশেষ ফিল্মসের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। সেই সব ভেবে খারাপই লাগছে।’’ অন্য দিকে মহেশ গোড়া থেকেই এ ব্যাপারে নীরব।
১৯৮৬ সালে ছেলে বিশেষের নামে এই প্রোডাকশন হাউস খুলেছিলেন মুকেশ। এই সংস্থা থেকেই মহেশ একের পর এক হিট ছবি পরিচালনা করেছেন। তাঁর কন্যা পূজা ভট্টকেও লঞ্চ করেছিল এই সংস্থা। কম বাজেটে ছবি বানিয়ে বাজিমাত করা এবং নতুন ট্যালেন্টকে সুযোগ দেওয়াই ছিল এই সংস্থার বৈশিষ্ট্য। বিশেষ ফিল্মসের ব্যানারে শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘সড়ক টু’। যে ছবিতে মহেশ তাঁর কন্যা আলিয়াকে ডিরেক্ট করেছিলেন। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে রিলিজ় করা এই ছবি সর্বস্তরেই সমালোচিত হয়েছিল। অনেকের মতে, তার পর থেকেই দুই ভাইয়ের মধ্যে কাজ নিয়ে মতবিরোধ বাড়ে। মুকেশ-পুত্র বিশেষ এখন তাঁর ডেবিউ ফিল্মের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিক্রম তাঁর কথায় মহেশকে ‘বস’ হিসেবে উল্লেখ করায় মনে করা হচ্ছে, এই ভাগাভাগিতে তিনি মহেশের সঙ্গেই থাকছেন। যদিও বিক্রম এর আগে অনেক বার সংস্থার বাইরে বেরিয়ে কাজ করেছেন।