বিজয়কে চুমু খাওয়ার পর বিভীষিকা নেমে আসে রশ্মিকার জীবনে, তেলুগু দর্শক একঘরে করেছিলেন তাঁদের?

বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে ‘ডিয়ার কমরেড’ ছবিটি তখন সদ্য করেছেন রশ্মিকা। তার পরই ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতা দায়। সেই রোম্যান্টিক ছবিতে কী এমন ছিল বুঝতে পারেন না রশ্মিকা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২২ ১২:০২
Share:

বিজয়ের সঙ্গে না হওয়া প্রেমের মাশুল দিতে হয়েছিল রশ্মিকাকে?

পর্দায় চুমু খেয়েছিলেন বলে সে কী বিড়ম্বনা! ‘ন্যাশনাল ক্রাশ’ হলেও, নিন্দকের কুনজর এড়াতে পারেননি রশ্মিকা মন্দনা। কটাক্ষ-বাণ জর্জরিত করেছে তাঁকেও। একটা সময় গিয়েছে, যখন খবর দেখলেই মন খারাপ হয়ে যেত। ভুলতে পারেন না সেই বিভীষিকা। সামনেই মুক্তি পেতে চলা হিন্দি ছবি ‘গুড বাই’-এর প্রচার অনুষ্ঠানে এসে ভাগ করে নিলেন সে কথা।

Advertisement

২০১৯ সাল। বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে ‘ডিয়ার কমরেড’ ছবিটি সদ্য করেছেন রশ্মিকা। তার পরই ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতা দায়। ভরত কাম্মা পরিচালিত সেই তেলুগু রোম্যান্টিক ছবিতে কী এমন ছিল বুঝতে পারেন না রশ্মিকা। তবে নিন্দকদের দাবি ছিল, ‘নোংরামি’ হয়েছে বেশ কয়েকটি দৃশ্যে। যেগুলি চুম্বন-দৃশ্য বলেই বুঝতে পেরেছেন অভিনেত্রী। ‘ডিয়ার কমরেড’ ছবিতে তাঁর আর বিজয়ের বেশ কয়েকটি প্রেমাতুর চুম্বন মুহূর্ত ছিল। যদিও ছবির নায়ক-নায়িকার মধ্যে প্রেম পূর্ণতা পাওয়ার পরিস্থিতি ছিল না। তাঁদের না হওয়া প্রেমের মধ্যে কাঁটা হয়ে রয়ে গিয়েছিল ওই দৃশ্যগুলোই। লোকে নানা কথা বলছিলেন। নজরে আসার জন্য এ সব করে উঠতে চাইছেন— এমন কথা শুনতে হয়েছে রশ্মিকাকে।

কিন্তু অভিনেত্রী চাননি, তাঁর পরিবারকে এ সবের মধ্যে দিয়ে যেতে হোক। যে ভাবে হোক মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। তবু কুৎসা এক বার রটলে তা ফেরানো সহজ নয়। মাসের পর মাস এগুলি সহ্য করতে হয়েছিল রশ্মিকাকে।

Advertisement

‘পুষ্পা’ অভিনেত্রীর কথায়, “যা কিছু পড়ছি, দেখছি, সবই ভয়াবহ! ভীষণ যন্ত্রণার মধ্যে ছিলাম। সবাই এড়িয়ে গেলে, দূরে সরে গেলে যেমন লাগতে পারে কারও আমারও তেমনই লেগেছিল। দুঃস্বপ্ন দেখতাম রাতে। কী দেখতাম জানি না, ঘুম ভাঙত যখন, দেখতাম কাঁদছি। পরিবারের সঙ্গে যে যন্ত্রণাটা ভাগ করব সে উপায়ও ছিল না। এমন বিশ্রী বিষয় বাড়িতে বলে শুধু শুধু সবাইকে উদ্বিগ্ন করতে চাইনি।”

এর পর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি এবং বিজয় দু’জনেই বার বার বলেছেন যে তাঁরা ভাল বন্ধু। অন্য কোনও রসায়ন ভিতরে আড়াল করে রাখেননি।

তখনও ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ মুক্তি পায়নি। দক্ষিণী ছবিতেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন নায়িকা। কিন্তু দেশ ঘুরতে গিয়ে দেখেন, তাঁকে ভালবাসেন উত্তরের মানুষও। তাঁকে দেখতে চায় মুম্বই। রশ্মিকা জানান, তাঁর হিন্দি ছবিতে কাজ করতে চাওয়ার মূল কারণ দর্শকের ভালবাসা। বললেন, “সকলে চাইতেন, আমি বলিউডে ছবি করি। তাই ভাবলাম দেখাই যাক।”

২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ রশ্মিকার জীবন বদলে দেয়। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে অভিনেত্রী জানান, মানুষের ভালবাসা পেলে দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। সে ভাবেই কাজ করার চেষ্টা করবেন তিনি, আরও বেশি প্রশংসার লোভে।

‘পুষ্পা’ মুক্তির এক বছর আগেই রশ্মিকা সই করেছিলেন প্রথম হিন্দি ছবিতে। যে ছবিতে সিদ্ধার্থ মলহোত্রর সঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। ছবির নাম ‘মিশন মঞ্জু’। অন্য দিকে, দ্বিতীয় ছবি ‘গুডবাই’, যে ছবিতে সহ-অভিনেতা হিসাবে পেয়েছেন অমিতাভ বচ্চনকে, সেই ছবির প্রথম ‘লুক’ ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন দর্শক।

আগামী ৮ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে ‘গুড বাই’, যে ছবি দিয়ে বলিউডে পা রাখবেন রশ্মিকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement