রশ্মিকা মন্দনা। ছবি: সংগৃহীত।
কালো পোশাক পরে লিফট্ থেকে বেরিয়ে আসছেন রশ্মিকা মন্দনা। পরনে কালো রঙের পোশাক, যদিও সেটি বেশ কুরুচিকর। পোশাকটি এমনিই যে অভিনেত্রী বক্ষবিভাজিক স্পষ্ট। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীর ঊরুও স্পষ্ট সেই পোশাকে। নিমেষে সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়ে রশ্মিকা মন্দনার এই ছবি। যদিও এই ছবি দেখে অনেকেই ধন্দে ছিলেন, আদৌ এটা রশ্মিকা তো! সাধারণত এই ধরনের পোশাকে দেখা যায় না তাঁকে। অনুরাগীদের সন্দেহই ঠিক প্রমাণিত হল। জানতে পারা যায়, এই ভিডিয়োর মহিলা আদপে রশ্মিকা নন। অন্য এক মহিলার ভিডিয়োয় কারসাজি করে অভিনেত্রীর মুখ বসানো হয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই অপরাধী শাস্তি চেয়ে রশ্মিকার পাশে দাঁড়ান স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন। এ বার নিজের এই বিকৃতি ছবি প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়ে কী জানালেন অভিনেত্রী?
এমন এক ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী। শুধু তা-ই নয়, এই ধরনের কারসাজির ঘটনায় রশ্মিকা ভয় পেয়েছেন বলেই জানান। অভিনেত্রী নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বিবৃতি দিয়ে লেখেন, ‘‘আমার যে ডিপফেক ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে, সেটা নিয়ে কথা বলতে গেলেও ভীষণ খারাপ লাগছে। আমি ব্যথিত। এই ঘটনা আমার কাছে খুবই ভয়ের। শুধু আমার একার জন্য নয়, যাঁরাই সারা ক্ষণ ক্যামেরার সামনে রয়েছেন তাঁদের জন্য। ভাবলেই ভয় করছে, কী ভাবে প্রযুক্তির অপব্যবহার করা হচ্ছে। আজ একজন নারী ও অভিনেত্রী হিসাবে আমি আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধবদের কাছে কৃতজ্ঞ, যাঁরা আমাকে এই সময় সমর্থন করেছেন আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু ভাবুন, যদি আমি একজন স্কুল-কলেজে পড়া ছাত্রী হতাম! আমার তো মাথা কাজ করত না এই পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার। আমাদের সকলের উচিত সমষ্টিগত ভাবে এগিয়ে এসে এই ধরনের সমস্যা নিয়ে কথা বলা।’’
সমাজমাধ্যমের রশ্মিকার ওই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে জানতে পারা যায়, ওই ভিডিয়ো আসলে কৃত্রিম মেধা তথা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে বিকৃত করা হয়েছে। কাজটি এআইয়ের সাহায্য নিয়ে করেছেন জ়ারা প্যাটেল নামে এক মহিলা। এই ভিডিয়োয় রশ্মিকার মুখ বসানো হয়েছে। অর্থাৎ ভিডিয়োয় মুখ রশ্মিকার হলেও তাঁর পরনের পোশাক তাঁর নয়। গোটা ঘটনাটি আসল ভিডিয়ো সমেত সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করা হলে তা রিপোস্ট করে বিগ বি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।