Rannabanna

‘বিয়ের অনুমতি চাইতেই মায়ের হাতের আশীর্বাদী পদ্ম আমার মাথায়’

এ বছরের কালী পুজোর বিশেষ পর্বে অপরাজিতা আঢ্যের অতিথি সস্ত্রীক শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের পরিবারের পঞ্চম পুরুষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২০ ১৭:৫৬
Share:

স্টার জলসার ‘রান্নাবান্না’য় সঞ্চালক অপরাজিতা আঢ্যের সঙ্গে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুরাধা চট্টোপাধ্যায়।

বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণের প্রতিটিই ভীষণ যত্ন নিয়ে উদযাপিত হয় স্টার জলসার ‘রান্নাবান্না’য়। এ বছরের কালী পুজোর বিশেষ পর্বে ১৪ নভেম্বর বিকেল ৪টেয় কুকারি শো-এ সঞ্চালক অপরাজিতা আঢ্যের অতিথি সস্ত্রীক শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের পরিবারের পঞ্চম পুরুষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। যিনি দক্ষিণেশ্বরে ভবতারিণী মায়ের নিত্য সেবাইত। সেই সঙ্গে আকাশবাণীর নিয়মিত সঙ্গীতশিল্পী।

Advertisement

কী কী রান্নাবান্না শেখালেন সোমনাথ-গৃহিণী অনুরাধা চট্টোপাধ্যায়? টিম ‘রান্নাবান্না’ জানিয়েছে, ঘি ভাত, নিরামিষ মাছের মুড়োর ঝাল। সঙ্গে বাড়তি আকর্ষণ ঠাকুর, দক্ষিণেশ্বর মন্দির, ভবতারিণী মাকে নিয়ে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের অভিজ্ঞতা।

বরাবরই উইন্ডোজ প্রোডাকশনের এই প্রযোজনা চিরাচরিত কুকারি শো-এ ঘরোয়া ভাব বেশি। সেই অনুভূতি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে এই শো-তেও। অপরাজিতাকে যেমন দেখা যাবে আটপৌরে সাউথ ইন্ডিয়ান শাড়ি, মানানসই গয়নায়। রিল লাইফ ছেলে ‘গোপাল’ ওরফে রক্তিম সামন্তের পরনে রক্ত লাল পাঞ্জাবি। ঘর জুড়ে সাজানো জ্বলন্ত প্রদীপ। যেন এক টুকরো দীপাবলি উঠে এসেছে সেট-সজ্জায়।

Advertisement

পরমহংসদেবের বংশধর মা ভবতারিণী এবং শ্রী রামকৃষ্ণদেবকে নিয়ে কোন ঘটনা শোনালেন? সোমনাথবাবু জানালেন, ‘‘মায়ের নিবেদিত ভোগে মাছের মুড়োর প্রতি প্রচণ্ড লোভ ছিল ঠাকুরের। সে কথা তিনি স্বীকারও করেছিলেন ভাগ্নে হৃদয়ের কাছে। বলতেন, 'ওরে হৃদে আমার শরীর থাকে কামারপুকুকে। মন ঘুরঘুর করে দক্ষিণেশ্বরে, মায়ের ভোগের থালার কাছে। মায়ের জন্য রাঁধা মাছের মুড়োটি না পেলে যেন শান্তি হয় না।’’

ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের সেবাইত সোমনাথ। দেবীকে সাজানোর সময় স্পর্শ করে তিনিও কি অনুভব করেছেন, মা আসলে রক্তমাংসের? সোমনাথ জানালেন, এই অনুভূতি তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত। তিনি তা ভাগ করে নিতে পারেননি কোনও দিনই। যদি দেবী অপ্রসন্ন হন!

সোমনাথের কথায়, এক বার মা'কে পরীক্ষা করতে গিয়ে তাঁর বাবা নিজের এঁটো মিষ্টি নিবেদনের জন্য রেখেছিলেন। তিনি যেই সেটি নিবেদন করতে যাবেন, সঙ্গে সঙ্গে মায়ের পায়ের কাছে বসা থাকা প্রকাণ্ড বড়, ভারী শিয়াল বেদী ভেঙে মাটিতে পড়ে যায়। তাঁর বাবা সাত দিন বিছানা ছাড়তে পারেননি প্রচণ্ড জ্বরে।

সোমনাথের কথায়, ‘‘অনেক ছোট বয়সে মাকে হারিয়েছি। আমার কাছে গর্ভধারিণী মানে ভবতারিণী। বাবা যখন আমার বিয়ে ঠিক করেন তখন তাঁকে বলেছিলাম, এক বার মাকে জিজ্ঞেস করে আসি। মায়ের কাছে এসে মাথা ঠেকিয়ে জানতে চেয়েছিলাম, মা আমি কি সংসারী হতে পারব? আচমকা মায়ের হাতের পদ্ম এসে পড়ল আমার মাথায়। বুঝলাম, মা আশীর্বাদ, অনুমতি দুটোই দিলেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement