সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
জি বাংলার ‘রান্নাঘর’-এ দু’বছর পরে আবার যখন কর্ত্রী সুদীপা চট্টোপাধ্যায় ফিরলেন তখন দেশ জুড়ে নিউ নর্মাল ফেজ। ফলে, কোভিড ডায়েট, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কী কী খাবেন, কী কী করবেন নিয়েই শুরু হয়েছিল শো। সুদীপার ভাষায়, ‘‘সেখানে ডাক্তারবাবু, ডায়েটিশিয়ানরা আসতেন নিয়মিত। আর সারা ক্ষণ করোনা শব্দটা শুনতে শুনতে কেমন যেন পাগল পাগল লাগত।’’
তখনই চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ, কোভিড পরিসংখ্যান থেকে দূরে থাকুন। নইলে জীবন কোভিড-ময় হয়ে উঠবে। ডাক্তারবাবুর এই পরামর্শ লুফে নিয়েছে চ্যানেল। সেখান থেকেই ১২ দিনে দেশের ২২টি রাজ্য ঘোরার পরিকল্পনা। সঙ্গে সেখানকার স্পেশাল মেনু তো থাকছেই।
কর্তৃপক্ষের সায় মিলতেই লাইভে সুদীপার আমন্ত্রণ ছিল, ‘‘বেড়াতে যাবেন? ১২ দিনে মোটামুটি গোটা ভারত দেখে ফেলা যাবে!’’
স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত ‘রান্নাঘর’-এ দেখানো হচ্ছে নানা রাজ্যের রান্না।
সুদীপার কথা তখন যাঁরা বুঝতে পারেননি তাঁদের জন্য সুদীপা আনন্দবাজার ডিজিটালে সবিস্তার জানালেন। তাঁর প্ল্যান অনুযায়ী, গত ৩ অগস্ট, অর্থাৎ রাখীর দিন থেকে স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত চ্যানেলের সুপারহিট কুকারি শো ‘রান্নাঘর’-এ দেখানো হচ্ছে দেশের নানা প্রদেশের, মনভোলানো প্রাকৃতিক দৃশ্য আর নানা রাজ্যের রান্না। যে দিন যে অঞ্চলের রান্না দেখানো হবে সেই প্রদেশের বাসিন্দারা কিছুটা বাংলা বা বেশির ভাগ হিন্দিতে রেসিপির বৈশিষ্ট্য নিয়ে বলবেন। সব মিলিয়ে প্রতিটি পর্ব ঘরে বসে ভারত দর্শনেরই সমান।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি কী ভাবে মোকাবিলার চেষ্টা করছে বেইরুট
আরও পড়ুন: সতর্ক না হলে তারা মা-ও বাঁচাতে পারবেন না: নবনীতা
নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে, কোন কোন অঞ্চলের কী কী রান্না দেখতে পাবেন?
লাদাখের স্পেশাল মাটন, গোয়ার মশলাদার চিকেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের জিভে জল আনা মাছের মেনু, দক্ষিণ ভারতের টক ঝাল কাঁকড়া। এ ভাবেই সারা দেশের সব রাজ্যের বিখ্যাত পদ একসঙ্গে ‘রান্নাঘর’-এর হেঁশেলে, জানালেন সুদীপা। বললেন, দক্ষিণ ভারত বললেই মনে আসে ইডলি, দোসা, সম্বর। তা কিন্তু নয়। কর্নাটক, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরলের মানুষও কিন্তু দিব্য মাছ, মাংস খান!