করুণাময়ী রানি রাসমণি
টেলিকাস্ট বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল দু’টি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’ এবং ‘দেবী চৌধুরানি’র। দুই ধারাবাহিকের প্রযোজক সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে পারিশ্রমিক বাকি রাখার এবং টিডিএস জমা না দেওয়ার অভিযোগে গত শুক্রবার থেকে শুটিং বন্ধ রেখেছেন শিল্পীরা। বুধবার আর্টিস্ট ফোরাম একটি বৈঠক করে। ঠিক হয়, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে প্রযোজককে সব বকেয়া মেটানোর জন্য। চ্যানেলগুলি আশ্বাস দেয়, প্রযোজক যাতে টাকা মিটিয়ে দেন, সেই বিষয়টি তারা দেখবে। এর পরেই ধর্মঘট তুলে নেন শিল্পীরা। বৃহস্পতিবার কাজে ফেরেন ‘রানি রাসমণি’র শিল্পীরা। আজ থেকে ‘দেবী চৌধুরানি’র শুটিংও শুরু হচ্ছে।
আর্টিস্ট ফোরামের মিটিংয়ে ঠিক হয়েছে, ‘রানি রাসমণি’র জুলাই মাসের সব টাকা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে। অগস্টের টাকা মেটানোর সময়সীমা ২২ সেপ্টেম্বর। আর ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সেপ্টেম্বরের পারিশ্রমিক দিতে হবে সুব্রতকে। আর্টিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘আমরা চ্যানেলের সঙ্গেও কথা বলেছি। ওরাও শিল্পীদের পাশেই। আমাদের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে যাতে প্রযোজক টাকা মিটিয়ে দেন, সেটি চ্যানেল দেখবে বলে জানিয়েছে।’’ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ‘দেবী চৌধুরানি’র সব বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুটিং শুরু হলেও আশঙ্কার মেঘ পুরোপুরি কাটেনি। প্রযোজক আদৌ শেষ পর্যন্ত সব বকেয়া মেটাবেন কি না তা নিয়ে ধন্দে শিল্পীরা। সুব্রতর প্রযোজনায় আর এক ধারাবাহিক ‘মনসা’র শিল্পীদেরও পাওনা বাকি। তবে সিরিয়ালটি ৩১ অগস্ট শেষ টেলিকাস্ট হবে। সূত্রের খবর, এক মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ‘দেবী চৌধুরানি’ও। কারণ এই কাহিনিটিও শেষের পথে। বাকি থাকছে ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’। জনপ্রিয়তার কারণে এই ধারাবাহিকটি এখনই শেষ করতে রাজি নয় চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে প্রযোজক রানা সরকার বকেয়া টাকা মেটাতে না পারায়, সেই শো অন্য প্রযোজকদের দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পদক্ষেপ সুখকর হয়নি। অন্য কোনও প্রযোজকই নাকি সুব্রতর সিরিয়াল নিতে রাজি নয়। সে ক্ষেত্রে হয়তো চ্যানেল ‘রানি রাসমণি’ ধারাবাহিকটি সরাসরি নিজেদের আওতায় নিয়ে আসতে পারে, এমন সম্ভাবনাও শোনা যাচ্ছে।