করিনা-করিশ্মার সঙ্গে রণধীর
দুই মেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে সংসার টানতে খুবই কষ্ট করতে হয়েছে তাঁকে। এ কথা বর্ষীয়ান অভিনেতা রণধীর কপূর আগেও এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ৭৫- এ পা দিলেন রকরিনা কপূর এবং করিশ্মা কপূরের বাবা।
দুই মেয়ে ছোট থাকাকালীন আর্থিক সমস্যায় ছিল তাঁদের পরিবার। যদিও করিশ্মার ১৪ এবং করিনার ৮ বছর বয়সেই তাঁদের বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মা ববিতা কপূরের সঙ্গে আলাদা থাকতেন করিশ্মা এবং করিনা। তার আগে পর্যন্ত রণধীরের কথায়, তাঁর রোজগারেই সংসার চলত।
২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে রণধীর তাঁর আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে মস্করা করে বলেন, “আমার মেয়েরা আমার থেকে অনেক বেশি ধনী। ওদের তো বলি, আমাকে দত্তক নিয়ে নিক। তা হলে আমিও বড়লোক হয়ে যাব।”
রাজ কপূরের ছেলে ১৯৭১ সালে প্রথম নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন ‘কাল আজ ওউর কাল’ ছবিতে। তার আগে একাধিক ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু সেই সময়ে বিজ্ঞাপন বা এনডর্সমেন্টের মতো কাজ করে টাকা রোজগারের সুযোগ ছিল না বলে কেবল অভিনয় করেই পেট চালাতে হত। সেই কথা মনে করে রণধীর আক্ষেপ করেছিলেন, “এখন যদি আমি তরুণ হতাম, তা হলে নানা রকমের কাজ করে কত বড়লোক হতে পারতাম।”
করিনার সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, বিচ্ছেদের পর মায়ের সঙ্গে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর কপূর পরিবারের থেকেও কোনও রকম আর্থিক সাহায্য পাননি তাঁরা। করিনা বলেছিলেন, “আমার মা সব সময় কোনও না কোনও কাজ করতেন। একা আমাদের মানুষ করেছেন। মায়ের একটা রিয়্যাল এস্টেটের ব্যবসা ছিল। তার সঙ্গেই আরও অন্যান্য ছোট ব্যবসা ছিল। খুব কঠিন সময় গিয়েছে।”