ক্যানসারের ভয়ঙ্কর দিনগুলোই আরও কাছাকাছি এনে দেয় গোটা পরিবারকে। হাতে হাতে ধরে, একে অন্যের সাহস হয়ে উঠে তাঁরা পেরিয়ে যেতে চান বিপর্যয়ের মুহূর্ত। ঠিক সেটাই ঘটেছে ঋষি কপূরের পরিবারেও। বাবাকে হারানোর বছর দুয়েক বাদে সেটাই বেরিয়ে এল ছেলে রণবীর কপূরের কথায়।
ঋষিকে ফিরে দেখলেন রণবীর।
শুধু রোগী নয়, এখনও ক্যানসার ওলটপালট করে দেয় গোটা পরিবারকেই। রোগীর শারীরিক কষ্টের পাশাপাশি মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন তাঁর কাছের মানুষেরা। তবু হয়তো সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলোই আরও কাছাকাছি এনে দেয় গোটা পরিবারকে। হাতে হাতে ধরে, একে অন্যের সাহস হয়ে উঠে তাঁরা পেরিয়ে যেতে চান বিপর্যয়ের মুহূর্ত। ঠিক সেটাই ঘটেছে ঋষি কপূরের পরিবারেও। বাবাকে হারানোর বছর দুয়েক বাদে সেটাই বেরিয়ে এল ছেলে রণবীর কপূরের কথায়।
ঋষির শেষ ছবি 'শর্মাজি নমকিন' মুক্তি পাওয়ার পরে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আবেগে ভেসেছেন রণবীর। ফিরে দেখেছেন বাবার সঙ্গে কাটানো শেষ দিনগুলো। তাঁর কথায়, "বাবার ক্যানসার চিকিৎসার সময়ে অনেকগুলো দিন আমরা একসঙ্গে নিউ ইয়র্কে কাটিয়েছি। বহু দিন বাবার সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছি। কেমোথেরাপির কঠিন মুহূর্তগুলোতে হাসপাতালে ওঁর পাশে থেকেছি। কথা বলেছি। ওঁর নিশ্চুপ যন্ত্রণাগুলো অনুভ করতে শিখেছি। এই সময়টা পরিবার হিসেবে আরও বেঁধে বেঁধে থাকতে শিখেছি আমরা। আরও কাছাকাছি এসেছি।"
একইসঙ্গে 'ব্রহ্মাস্ত্র'-এর নায়ক ফিরে দেখেছেন কাজের প্রতি, পেশার প্রতি তাঁর বাবার অসীম দায়িত্ববোধকেও। জানিয়েছেন, 'শর্মাজি নমকিন'-এর সেটেই প্রথম ঋষি জানতে পেরেছিলেন, তাঁর ক্যানসার হয়েছে। কিন্তু নিজের দুঃখ, কষ্ট, ভয়ের চেয়েও তখন তাঁর কাছে বড় হয়ে উঠেছিল ছবির ভবিষ্যৎ। কপূর তনয়ের কথায়, "নিউ ইয়র্কে দীর্ঘ সময় চিকিৎসা করাতে গেলে ছবির শ্যুটিং কী করে হবে, সে বিষয়টাই বাবাকে বিচলিত করেছিল বেশি। এমনকি, ওঁর চিকিৎসার জন্য আমি নিউ ইয়র্কে থাকায় বাবার মনে হত, আমার কাজের কত ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে!"
অসুস্থ অবস্থাতেই 'শর্মাজি নমকিন' ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ঋষি। শ্যুটিং শেষ করার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর অসমাপ্ত চরিত্রটি শেষ করতে এগিয়ে আসেন পরেশ রাওয়াল। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বলিউডের 'লাভার বয়'-এর শেষ ছবি।