তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, বিয়ের পর তাঁদের পরিবার বারবার তাঁদের দাম্পত্যে হস্তক্ষেপ করবে। জ্যোতিষীর কথায়, ‘‘রণবীর-আলিয়া বহু দিন ধরেই প্রেম করছেন। তাই এ কথা স্পষ্ট যে তাঁদের সম্পর্কে বোঝাপড়া রয়েছে। কিন্তু তাঁদের মনের মধ্যে যত না প্রেম, তার থেকে বেশি হিসেব নিকেষ কষা রয়েছে। বাস্তববুদ্ধি রয়েছে দু’জনেরই।’’
রণবীর কপূর ও আলিয়া ভট্ট
আলিয়া ভট্ট এবং রণবীরের কপূরের দৌলতে কাছাকাছি এসেছে ভট্ট এবং কপূর পরিবার। দুই পরিবার কখনও নৈশভোজে একজোট হন। কখনও বা আলিয়ার দিদি শাহিন ভট্টের সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখা যায় রণবীরকে। কখনও বা রণবীরের মা-দিদি নীতু কপূর এবং ঋদ্ধিমা কপূরের সঙ্গে নিজস্বী তুলতে ব্যস্ত থাকেন আলিয়া। দুই তারকার প্রেমের কারণে ঘনিষ্ঠ হয়েছে দুই তারকা পরিবার।
কিন্তু এই ঘনিষ্ঠতাই বিপদ ডেকে আনবে না তো হবু দম্পতির জীবনে? তাঁদের বিয়ের আগে তেমনই আশঙ্কা করলেন এক জ্যোতিষী।
তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, বিয়ের পর তাঁদের পরিবার বারবার তাঁদের দাম্পত্যে হস্তক্ষেপ করবে। জ্যোতিষীর কথায়, ‘‘রণবীর-আলিয়া বহু দিন ধরেই প্রেম করছেন। তাই এ কথা স্পষ্ট যে তাঁদের সম্পর্কে বোঝাপড়া রয়েছে। কিন্তু তাঁদের মনের মধ্যে যত না প্রেম, তার থেকে বেশি হিসেব নিকেষ কষা রয়েছে। বাস্তববুদ্ধি রয়েছে দু’জনেরই। আর তাই এই বিয়ে। বিয়ের ফলে দুই পরিবার আরও কাছাকাছি চলে আসবে।’’ তাঁর গণনা অনুসারে, আলিয়া তাঁর দাম্পত্যের হাল ধরবেন। কিন্তু আলিয়ার অতি আবেগ সম্পর্কে সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে ধারণা তাঁর।
জ্যোতিষীর পরামর্শ, রণবীর-আলিয়া যেন জীবনের সব ক্ষেত্রেই ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন।
সূত্রের খবর, বিয়ের অনুষ্ঠানের আগেও সারা দিন ধরে দুই পরিবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করে কথা বলে যাচ্ছে। যেখানে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন রণবীরের মা নীতু এবং আলিয়ার মা সোনি রাজদান। বিয়ের অ্যালবাম কেমন হবে, অনুষ্ঠানে কী মেনু থাকবে না থাকবে, কী ভাবে সেজে উঠবে বিয়ের আসর— ইত্যাদি আলোচনা হচ্ছে। নীতু শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত থাকলে ঋদ্ধিমা দায়িত্ব কাঁধে নিচ্ছেন। অন্য দিকে আলিয়ার দিদিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
অন্য দিকে বর-কনে শনি এবং রবিবার শ্যুটিং করছিলেন। সেই সময়ে কাজে বিরতি মিললেই নিজেদের ভ্যানিটি ভ্যানে উঠে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং করে কথা বলছিলেন রণবীর-আলিয়া।