কেকে-বিতর্কের পরে রূপঙ্কর বাগচির পাশে দাঁড়ালেন রানা সরকার। ।
কেকে-বিতর্কের পরে এই মুহূর্তে তুমুল অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে রূপঙ্কর বাগচি। গায়ককে ‘ব্রাত্য’ করেছে প্রথম সারির কেক প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং শহরের এক রেস্তরাঁ। আপাতত একই পথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজকরাও। শোনা যাচ্ছে, একটি ছবি থেকেও বাদ গিয়েছে তাঁর গান। একই সঙ্গে ছোট পর্দার দর্শকদেরও দাবি, স্টার জলসার রিয়্যালিটি শো ‘ইস্মার্ট জোড়ি’ থেকে বাদ দেওয়া হোক গায়ক এবং গায়ক-পত্নী চৈতালি লাহিড়িকে। এ ভাবেই জনরোষে রূপঙ্কর যখন পর্যুদস্ত, তখন তাঁর পাশে দাঁড়ালেন প্রযোজক রানা সরকার। শুক্রবার ফেসবুকে তাঁর দাবি, ‘আমি রূপঙ্করদাকে বয়কট করছি না।’
আনন্দবাজার অনলাইনে রানার ঘোষণা, ‘‘আমি রূপঙ্কর বাগচিকে দিয়ে গান গাওয়াব। আমার প্রযোজনায় একাধিক ছবি তৈরি হচ্ছে। সেখানেই তিনি গাইবেন। রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম ছবি ‘কলকাতা ৯৬’-এ রূপঙ্করদার গান শুনতে পাবেন শ্রোতারা।’’
দুর্দিনে গায়কের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে প্রযোজকের দাবি, ‘‘কেকে-র প্রতি তাঁর আচরণ বা মন্তব্য সঠিক ছিল না। তাঁর বিরোধিতা আমিও করছি। তার মানে কি শিল্পী আর কোথাও স্থান পাবেন না? কেকে-র মৃত্যুর জন্য তো রূপঙ্করদা দায়ী নন! এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।’’ ভাল গানের পাশাপাশি ভাল শিল্পীর কদরও তিনি করেন, জানালেন রানা। কিন্তু কোনও শিল্পীকে খাটো করে নয়। তাঁর মতে, মানুষ মাত্রেই ভুল করে। সেই ভুলের জন্য আজীবন তিনি মাসুল গুনবেন, সেটা তো হতে পারে না। তা ছাড়া, সম্প্রতি শিল্পী সবার সামনে ক্ষমাও চেয়েছেন। এ বার তাঁকে সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন রানা।
কেকে-কে হারিয়ে তাঁর পরিবার যেমন ভাল নেই, বিতর্কের কারণে অশান্তিতে রূপঙ্করের পরিবারও। সেই জায়গা থেকে রানার দাবি, ‘‘কেকে-র কথা ভাবলে রূপঙ্করদার কথাও ভাবতে হয়। কারণ, দু’জনেই শিল্পী। হয়তো ভিন্ন ভাষায় গান করেন।’’ তাঁর মতে, যে কোনও গুণীকে তাঁর গুণ দিয়ে বিচার করা উচিত। তা ছাড়া, বাংলা সঙ্গীত দুনিয়ায় জাতীয় পুরস্কারজয়ী শিল্পীর যথেষ্ট অবদানও রয়েছে। সব ধরনের গান শুনলেও রানা নিজে বাংলা গান বেশি ভালবাসেন। তাই গায়ক রূপঙ্কর বাগচির অমর্যাদা তিনি কোনও দিন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন প্রযোজক।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।